28/04/2024 : 7:11 PM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানমঙ্গলকোট

দলবদলের মরশুমে তৃণমূল নেতার একাকী লড়াই মঙ্গলকোটে

জিরো পয়েন্ট নিউজ – পরাগ জ্যোতি ঘোষ, গুসকরা, ৭ জানুয়ারি ২০২১:


তিনি কোন হেভিওয়েট নেতা নন ,সাংগঠনিক কোন বড় পদেও বসে নেই তৃণমূলে কিন্তু দলকে কেমন করে ভালবাসতে হয় তার কাছে শিখতে হয়। যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন মঙ্গলকোটের চানক অঞ্চলের জালপাড়া বুথের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী পতিত পাবন মন্ডল ওরফে সকলের সোনাদা।

বর্তমানে যেভাবে পশ্চিম মঙ্গলকোট বিজেপির বাড়বাড়ন্ত সে অবস্থায় পালটি খাওয়ার কোন প্রবণতাই নেই এই সদা হাস্যময়, দীর্ঘদেহী ,সুঠাম চেহারার নেতার। চাষী পরিবারের ছেলে, সঙ্গে মাছ চাষ এবং রাজনীতি নেই তার দিন কাটে ।

রাজনীতিতে খুব বেশিদিন এসেছেন তা নয়। গ্রামের পূর্ববর্তী তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পদার্পণ তার রাজনীতিতে। আস্তে আস্তে গুটিগুটি পায়ে স্বপক্ষে নিয়ে আসেন গ্রামের উৎপল ভগিরথ বাবাই দের। নিজের সমর্থনে সরব হয়ে ওঠেন তদানীন্তন তৃণমূল নেতাদের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ।

গ্রামের মানুষজনদের সমর্থন পেয়ে যান ।আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পেয়ে যান এবং জিতেও যান বা ওয়াকওভার পেয়ে যান। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে অঞ্চলের বুথ গুলিতে তৃণমূলের ধ্বস নামতে দেখা গেছে চরমভাবে। অধিকাংশ বুথেই লিড দিয়েছে বিজেপি ।জালপাড়া বুথেও ছিল বিজেপির লিড। আর লোকসভা নির্বাচনের পরেই পরিস্থিতি আরো গরম হয়ে ওঠে ।

সোনা অনুগামীদের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জালপাড়ার রাজনীতি। কিন্তু পতিতপাবন বা সোনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেখা যায়নি। তিনি তার স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন যদি কেউ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তা তিনি মাথা পেতে নেবেন। এরপরই অনেক অভিযুক্ত সোনা অনুগামী নিজেদের গুটিয়ে নেন। কিন্তু পতিতপাবন যেন একাই একশো ।আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেছেন অরূপ পাল ।পাড়ায় পাড়ায় মানুষের সমস্যা শোনা এবং তার প্রতিবিধান করার চেষ্টা এখন তাদের রোজনামচা। তাদের ভরসা মানুষ তাদের পাশেই আছেন এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারাই জিতবেন।

পতিতপাবন কে জিজ্ঞাসা করা হয় এই যে তৃণমূল নেতাদের দলবদল এর পালা চলছে এমন অবস্থায় তাঁর এই মাটি কামড়ে পড়ে থাকার আসল রহস্য কি ?মুচকি হেসে বলেন ভালোবাসা –দলের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা ।তিনি মানুষের রায় কে ভরসা করেন। হয়তোবা একটু কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে কত কিছু ঘটতে পারে তা কেউ বলতে পারেনা। সকাল-সন্ধ্যায় মোড়ের মাথায় শঙ্করের চায়ের দোকানে আড্ডা বসে বিজেপি তৃণমূল সিপিএম নেতাদের। যারা রাজনীতিতে রং আলাদা হলেও হৃদয়ের রং সবার একটাই ।তারা গ্রামের মানুষ, গ্রাম ই তাদের মা ।তাই মঙ্গলকোটের ফলাফল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যাই হোক না কেন চানক অঞ্চলের জালপাড়া গ্রাম অনন্য হয়ে থাকবে তার শান্তিময় রাজনৈতিক পরিকাঠামো জন্য।

Related posts

কলকাতা সহ ৫০টি স্থানে  উচ্চচাপ যুক্ত ইসিএইচএস পলিক্লিনিকে ঠিকাকর্মী নিয়োগ

E Zero Point

তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুঃ পরিবারের পাশে জেলার বিধায়করা

E Zero Point

বর্ধমানে আত্মহত্যার অনুমতি চাইছে চাষী

E Zero Point

মতামত দিন