19/03/2024 : 1:32 PM
বিনোদনরঙ্গমঞ্চ

নটসূর্য অহীন্দ্র চৌধুরী স্মরণ

জিরো পয়েন্ট প্রতিবেদন, রাজকুমার দাস, কলকাতা, ৭ অগাষ্ট, ২০২০:


নটসূর্য অহীন্দ্র চৌধুরীর জন্মদিন  ১৯৭৪ সালের ৪ঠা নভেম্বর মঞ্চলোক ও শিল্পলোক ত্যাগ করেন তিনি। ১৮৯৫ সালের ৬ই আগস্ট আজকের দিনটিতে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পিতা চন্দ্রভূষণ চৌধুরী। কিশোর বয়সে যাত্রাতে অভিনয়ের আকর্ষণে স্কুলের পড়া ছাড়েন তিনি। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের শাজাহান নাটকের অভিনয় দেখে এমন অনুপ্রাণিত হন যে, একটি শখের থিয়েটার দলে শাজাহানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ১৯১২ সালে। পরবর্তীকালে পেশাদারি জীবনে তিরিশ বছর ধরে ওই একই ভূমিকায় কমপক্ষে ১৯০০ রজনী অভিনয় করেছেন। পাড়ার যাত্রাদলে প্রায় ৬০টি যাত্রাপালায় অভিনয় করেছেন।স্টার থিয়েটারে অভিনয় করেন কর্ণার্জুন নাটকে।ম্যানেজার হিসেবে মিনার্ভা থিয়েটারে যোগদান করেন ১৯৩০ সালে।আবার পূর্বতন আর্ট থিয়েটারের সেক্রেটারি প্রবোধচন্দ্র গুহর আমন্ত্রণে তাঁর নতুন থিয়েটার নাট্য নিকেতনে আসেন ১৯৩৩ সালে।তখন সবে কলকাতায় ঘূর্ণনযোগ্য মঞ্চ প্রবর্তিত হয়েছে।নাট্যনিকেতন তেমন একটি মঞ্চ পেয়েছিল ১৯৩৯ সালে এবং তাতে অভিনীত হয়েছিল শচীন সেনগুপ্তের আধুনিক মনস্তাত্বিক নাটকগুলি এবং মহেন্দ্র গুপ্তের কঙ্কাবতীর ঘাট। রঙমহল ও নাট্য ভারতীতেও অভিনয় করেছেন তিনি।

কম্বিনেশন নাইট বা সংযুক্ত অভিনয়ের তিনি বিশেষ ভক্ত ছিলেন।তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলির মধ্যে অন্যতম মিশরকুমারী,রাজা ও রাণি, চন্দ্রগুপ্ত,প্রফুল্ল,মেবার পতন, নবযৌবন, বিষবৃক্ষ, রিজিয়া, রজনী,বন্দিনী,চিরকুমার সভা,ঋষির মেয়ে,ফুল্লরা, গৃহপ্রবেশ, শোধবোধ,মগের মুলুক,চাঁদ সদাগর,দেশের ডাক,অভিজাত মা, ক্ষণা,গোরা,কেদার রায়, পথের দাবী, আগামীকাল,ভোলা মাস্টার, মাইকেল মধুসূদন,সন্তান,অনুপমার প্রেম, বিপর্যয়, প্লাবন, কাশীনাথ,সংগ্রাম ও শান্তি, নার্সিংহোম ইত্যাদি ইত্যাদি।

নাট্যক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নৃত্য নাট্য সংগীত ও দৃশ্যকলা আকাদেমি প্রবর্তিত সম্মানের প্রথম প্রাপক অহীন্দ্র চৌধুরী। অভিনয়ে চরম উৎকর্ষের জন্য তিনি নটসূর্য নামে খ্যাত হয়েছিলেন। ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী,রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সাম্মানিক ডি.লিট এবং স্টার থিয়েটার নাট্য শতবার্ষিকী পদক প্রদান করেন। অহীন্দ্র চৌধুরীর দীর্ঘ অভিনয় জীবনের স্মৃতিকথা নিজেরে হারায়ে খুঁজি নামক একটি অমূল্য আত্মজীবনী। তিনি গোপালনগরের নিজ বাসগৃহ এবং তাতে গড়ে তোলা তাঁর ব্যক্তিগত লাইব্রেরি একটি ট্রাস্ট গঠন করে জাতির উদ্যেশ্যে দান করে গেছেন। যে দানের ফলস্বরূপ আজ আমরা ধনী, আমরা থিয়েটারের শিক্ষিত শিল্পী হয়ে উঠতে কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছি।

Related posts

‘পাঠান’ বিতর্কের মাঝেও কয়েক ঘণ্টাতেই রেকর্ড গড়ল নতুন গান

E Zero Point

পাওলি দাম এবার হিন্দি সিনেমায়

E Zero Point

শেষ মুহূর্তেও কেউ জানতো না ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’-এর ক্যানসারের খবর!

E Zero Point

মতামত দিন