কবিতা শিশুর প্রিয় প্রণাম নিও
ড. রমলা মুখার্জী, বৈঁচী, হুগলী
শিশুর মনে কোমল স্হানে
ঢেউ তুলে কে যায়?
‘আবোলতাবোল’ বাজিয়ে মাদল
তিনি সুকুমার রায়।
বই ‘খাই খাই’ তুলনা তো নাই
অজানা কোন মন্তরে
রসেতে গড়া মজায় মোড়া
হাসে শিশুর অন্তরে।
কল্প গল্প নয় তো অল্প
‘হ-য-ব-র-ল’,
‘পাগলা দাশু’, ‘বহুরূপী’
মনকে নাড়ালো।
মজার নাটক কথার চটক
‘অবাক জলপান’,
‘ঝালাপালা’, ‘ভাবুক সভা’
আরও কত অবদান !
তাঁর ননসেন্স, মন ডে ক্লাবে
কত গুনীজন আসতেন-
সুনীতি কুমার, কবি-গীতিকার
অতুল প্রসাদ সেন।
শিশু-দোসর উপেন্দ্রকিশোর
সুকুমারের পিতা-
মুদ্রনে, চিত্রনে পুত্রে
দিলেন নতুন বার্তা।
বৃত্তি নিয়ে শিল্প দুয়ে
শিখতে গেলেন বিলাত –
থেকে ভিনদেশে লেখেন সন্দেশে
পাঠককুল মাত।
আঁকতেন কবি মজার সব ছবি
অপূর্ব সেই কীর্তি!
কৌতুকে নেচে শিশু গেল বেঁচে
বই ভরা শুধু ফূর্তি।
বুঝে শিশুমন প্রবন্ধ, ভ্রমণ
বিজ্ঞানও ছিল সাথী-
মাত্র ছত্রিশে কালাজ্বর এসে
নেভালো জীবন বাতি।
অল্প সময়ে রসেতে জমিয়ে
জল্পনা জয়-নদী-
সুকুমার রায় স্বমহিমায়
বহিছেন নিরবধি।♦