জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ২৭ এপ্রিল ২০২১:
ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রীরা আজ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ত্রিপাক্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে মিলিত হয়ে সুস্থায়ী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থার সূচনা করেছেন। ত্রিপাক্ষিক এই বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী মিঃ ড্যান তেহান, ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল এবং জাপানের অর্থনীতি ও বাণিজ্য মন্ত্রী মিঃ কাজিয়ামা হিরোশি যোগ দেন। ত্রিপাক্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে মন্ত্রীরা কোভিড মহামারীর দরুন জনজীবন ও অর্থনীতির ওপর যে অপ্রত্যাশিত প্রভাব পরেছে তা স্বীকার করে নেন। তাঁরা বলেন, এই মহামারী আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক স্তরে এক সুস্থায়ী সরবরাহ শৃঙ্খলের গুরুত্ব আরও একবার প্রতিফলিত করেছে। কিছু ক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে বলেও তাঁরা স্বীকার করে নেন।
অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের মধ্যে গত সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চ পর্যায়ে যে আলাপ-আলোচনা চলছে তার ওপর ভিত্তি করে এই তিন দেশের মন্ত্রীরা ঝুঁকি হ্রাস করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, সরবরাহ শৃঙ্খলে যেকোন ধরণের বাধা-বিপত্তি এড়াতে পরিকল্পনা প্রণয়ন অব্যাহত রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার তথা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যকরণের ওপর আরও গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে।
মন্ত্রীরা সুস্থায়ী সরবরাহ ব্যবস্থার সূচনা করে নিজ নিজ দেশের আধিকারিকদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলি প্রাথমিকভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দেন। এই বিষয়গুলি হল সুস্থায়ী সরবরাহ ব্যবস্থা সংক্রান্ত সেরা পন্থা-পদ্ধতির পারস্পরিক বিনিময়; লগ্নি আকৃষ্টকারী কর্মসূচি গ্রহণ এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় সম্ভাব্য বৈচিত্র্যকরণের বিভিন্ন দিক খুঁজে বের করতে অংশীদারদের স্বার্থে ক্রেতা-বিক্রেতা কর্মসূচির আয়োজন। সুস্থায়ী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থায় যথাযথ রূপায়ণে অন্তত এক বছর সময় বরাদ্দ করার ব্যাপারে তিন দেশের মন্ত্রীরাই সম্মত হয়েছেন। এই উদ্যোগে ব্যবসায়িক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। সুস্থায়ী এই সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে মন্ত্রীরা নিজ নিজ দেশের আধিকারিকদের প্রয়োজন ভিত্তিতে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছেন। ত্রিপাক্ষিক এই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রয়োজন সাপেক্ষে সহমতের ভিত্তিতে সুস্থায়ী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থার আরও সম্প্রসারণে বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে।
এই উদ্যোগকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে মন্ত্রীরা প্রতি চার মাসে একবার বৈঠকে মিলিত হওয়ার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন।