06/05/2025 : 7:11 PM
আমার দেশজীবন শৈলীধর্ম -আধ্যাত্মিকতা

একে অপরের ধর্ম গ্ৰন্থ সম্বন্ধে জানা জরুরীঃ অজ্ঞতাই সৃষ্টি করে ভেদাভেদ

জিরো পয়েন্ট বিশেষ প্রতিবেদন১৬ জুন ২০২২:

ভবেশ বসু


ভারতে একশো চল্লিশ কোটি জনসংখ্যা। তার ভিতর প্রায় পঁয়ত্রিশ কোটির বেশি মুসলিম। বাকি নানান হিন্দু সম্প্রদায়। হিন্দু মুসলিম কেউ কাউকে জানে না। পরিচয় নেই পরস্পরের ধর্ম, ত্যাগ ও সাধনা। বলা যায়, হিন্দুরা মুসলিমদের কোরাণ সমেত অন্যান্য ধর্মগ্ৰন্থ সম্বন্ধে অজ্ঞ।অপরদিকে মুসলিমদেরও ভারতের বৃহৎ অংশ হিন্দুদের দেবদেবী ও ধর্ম গ্ৰন্থ সম্বন্ধে জানার অনীহা।

ফলে দূর হতে না জেনেই পরস্পরের দিকে ঢিল ছুঁড়ে। কথা ও বাচালতা। ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় হিন্দুদের পূরাণ কার্যত অবহেলিত।যদিও মাদ্রাসায় পড়ানো হয় মুসলিম ধর্মগ্ৰন্থ। স্বাভাবিকভাবেই গড়ে উঠেছে উভযের “পূরাণ” সম্পর্কে পারস্পরিক সন্দেহ। বিশ্বকে জানতেও মুসলিম গ্ৰন্থগুলি পড়া জরুরী। আবার ভারত সমেত বিশ্বে হিন্দু জনসংখ্যার ত্যাগ, ধ্যান ও জ্ঞান, সর্বোপরি পুরাণ—মুসলিম শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া একান্ত দরকার। হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের বাহিরেও থেকে যায় বাইবেল বা অন্যান্য। সে সবগুলিই আমাদের উভয়ের জানা প্রয়োজন। বাইবেল অন্তর্ভুক্ত যে জনসংখ্যা, তার কতটা আমরা জানি।

যা বলবার কথা, একটি সম্পূর্ণ মানুষ তখনই—যখন সে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করবে। মনগড়া কাহিনীতে উপন্যাস হয়। গল্প হয়। নান্দনিক পূরাণগুলির অন্তর্দৃষ্টি ভেদ করা যায় না। এখানেই এসেছে মনগড়া অবিশ্বাস। দ্বন্দ্ব। অজ্ঞতা। সবশেষে বিদ্বেষ, হত্যা। প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ ধর্মগ্ৰন্থ সম্বন্ধে আত্মবিশ্বাসী।

মজার কথা, হলফ করে বলা যায় বেশিরভাগ হিন্দু মুসলিম কেউই তাদের ধর্ম গ্ৰন্থগুলি পাঠ করেন নি। পরস্পরকে জানা তো অনেক দূর।ঈশ্বর, আল্লা বা যিশুকে যদি এক পুঙতিতে ভোজন করানো যায়, তাহলে সে খাদ্য আমার আপনার একই খাদ্যনালীতে পড়বে। পড়ে দেখুন, সকল ধর্মগ্ৰন্থগুলির এই এক অতি সরল নির্দেশিকা আছে। আসুন সেই জ্ঞান অর্জনে আমরা পরিপূর্ণ মানুষ হই।

Related posts

প্রসঙ্গঃ ত্রিবর্ণরঞ্জিত লালচক – কাশ্মীরবাসীর মধ্যে আদৌও কি জাতীয়তাবাদের জোয়ার এসেছে?

E Zero Point

প্রথম অক্সিজেন এক্সপ্রেস দিল্লীতে পৌঁছেছে

E Zero Point

ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সাহিত্যে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

E Zero Point

মতামত দিন