06/05/2024 : 4:54 PM
জীবন শৈলীস্বাস্থ্য

স্ট্রোক কি বাথরুমে স্নানের সময় বেশি হয়?

অনেকে দাবি করে থাকেন, পৃথিবীতে যত মানুষ স্ট্রোক করে মারা যান তাদের বড় একটা অংশের বিপদ শুরু হয় বাথরুম থেকে। প্রচলিত এই ধারণা ‘কিছুটা ঠিক’ হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

স্ট্রোক মূলত যেকোনো স্থানে বসেই হতে পারে। হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের প্রধান কারণ।

মানুষ সাধারণত বাথরুমে প্রবেশের মাধ্যমে দিন শুরু করে, অথবা শেষ করে। সকালে স্নান করলে লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম উদ্দীপিত হয়।

জলের তাপমাত্রাও কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মের থেকে শীতকালে বাথরুমে বেশি স্ট্রোক হয়।

বাথরুমে স্ট্রোক হওয়ার আরেকটি কারণ পা পিছলে পড়ে যাওয়া। অনেক সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পেলে স্ট্রোক হতে পারে।

অনেকে বলে থাকেন, মাথায় প্রথমেই জল দিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের গতি বহু গুণ বেড়ে যায়। সে সময় বেড়ে যেতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকিও। এমন কোনো ব্যাখ্যা ডব্লিউএইচওর গাইড লাইনে নেই।

জানুন পূর্বাভাস:


সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশনের সহায়তায় অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিশেষজ্ঞরা বাজারে এনেছেন স্ট্রোক রিস্কোমিটার। পৃথিবীর ১৬০টি দেশের ৫৬০ কোটি মানুষ বাংলাসহ ১৫টি ভাষায় স্ট্রোক রিস্কোমিটার অ্যাপসের মাধ্যমে স্মার্ট ফোনে বিস্তারিত জানতে পারছেন। স্ট্রোক রিস্কোমিটার ব্যবহার করে প্রশ্নমালার যথাযথ উত্তর দিলে পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে স্ট্রোক ঝুঁকি কতটুকু এবং প্রতিরোধে করণীয় কী তা জানা যাবে।

স্ট্রোকের লক্ষণ কীভাবে বুঝবেন:


হঠাৎ শরীরের একদিকে দুর্বল বা অবশ হয়ে যাওয়া। কথা অস্পষ্ট, জড়িয়ে যাওয়া বা একেবারে বুঝতে ও বলতে না পারা। চোখে ঝাপসা দেখা। দুটো দেখা বা একেবারেই না দেখা হঠাৎ মাথা ঝিমঝিম, ঘোরা, হতবিহ্বল হয়ে পড়া বা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। মারাত্মক লক্ষণ হলো হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যথা, বমি, খিঁচুনি বা জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। স্ট্রোক একটা প্রতিরোধযোগ্য রোগ। একবার আক্রান্ত হলে চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল, ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদি। তাই প্রতিরোধই উত্তম।

Related posts

সন্ন্যাসী গোঁসাইজীর মহোৎসব মঙ্গলকোটে

E Zero Point

কেমন যাবে আপনার রবিবার জেনে নিন আজকের রাশিফল ও শুভ সংখ্যা

E Zero Point

রান্নাঘরঃ সরষে পাবদা

E Zero Point

মতামত দিন