24/04/2024 : 3:54 AM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানবর্ধমান

লকডাউনের মাঝে মাস্ক পরে বিয়ে করলেন পূর্ব বর্ধমানের যুবক-যুবতী

পিন্টু প্যাটেল, বর্ধমানঃ গত ২৯ মে মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষনা করেছিলেন ১লা জুন থেকে বেসরকারি অফিস ও মন্দির-মজিদ-গির্জা খোলা হবে, কিন্তু রাজ‍্য সরকার পরে সেই নির্দেশ পাল্টে ৮ই জুন করলেন। কিন্তু গত রবিবারই আমাদের চোখে ধরা পরলো এক অন‍্যচিত্র। পূর্ব বর্ধমানের সর্বমঙ্গলাপাড়া এলাকার দুর্গামন্দিরে নব দম্পতির বিবাহ অনুষ্ঠিত হল।

এদিন পূর্ব বর্ধমানের ৫ নম্বর ইছলাবাদের বাসিন্দা অর্ণব সূত্রধরের সাথে পূর্ব বর্ধমানের রায়না-২, গোতান গ্রামের মেয়ে শম্পা সাহা সাত পাকে বাঁধা পড়লো। পরিবার সূত্রে জানা যায় যে, অর্ণব ও শম্পার বিয়ে হবার কথা ছিল গত ১৭ই এপ্রিল। কিন্তু লকডাউনের ফলে বিয়ের তারিখ পিছিয়ে যায়। পঞ্জিকানুসারে আবার বিয়ের তারিখ পরে গত ৩১ মে। লকডাউনের শিথিলতার, সুযোগে সম্পূর্ণ সরকারি নির্দেশ মেনে ও লোকাল থানার অনুমতিক্রমে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং মুখে মাস্ক পরে দুজনের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে পাঁচজন এবং ছেলের পরিবারের থেকে পাঁচজন এবং বন্ধুবান্ধব নিয়ে মোট  ১৫ জন মিলে এই বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। একেবারে বিয়ের নিয়ম মত উলু দিয়ে, শাঁখ বাজিয়ে বিয়ের আসরে বসল যুবক-যুবতী। পুরোহিত মন্ত্র পড়লো এবং তারপরেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মন্দিরে বিয়ে দেওয়া হলো। নববধূ শম্পা সাহা খুব কষ্টের সাথে জানান, ওনার ইচ্ছে ছিল ধুমধাম সহকারে বিয়ে করবেন। প্রচুর মানুষ জন আসবে, সানাই বাজবে, বরযাত্রী আসবে, নাচ-গানে ভরপুর হয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে এই বিয়ে সম্পন্ন হবে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মহামারীর ফলে লকডাউনের কারণে সেই স্বপ্ন অসম্পূর্ণ থেকে গেলো। বিয়ে করে কিছুটা আনন্দ পেলেও মনের ভেতরে কোন একটা জায়গা স্বপ্নপূরণ না হওয়ার কষ্ট থেকে গেল, সারা জীবনের মতো।

Related posts

সিপিআইএম পার্টি নেতার জীবনাবসান মেমারিতে

E Zero Point

হেরে যাওয়ার পর কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী ? প্রশ্ন অমিত মালব্যেরঃ উত্তর আছে সংবিধানে

E Zero Point

প্রধান শিক্ষকের মানবিক উদ্যোগ মেমারিতে

E Zero Point

মতামত দিন