11/12/2024 : 9:02 AM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানপূর্বস্থলী

পূর্বস্থলীতে আবাসন যোজনার অর্থ গায়েবের অভিযোগ

আলেক শেখঃ আবাসন, শৌচাগার, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের অর্থ গায়েবের অভিযোগ তুলে বেশ কিছু উপভোক্তা ও স্থানীয় বাম বিধায়ক বিডিও-র দ্বারস্থ হন। তাঁরা লিখিত অভিযোগ জমা দিলে বিডিও তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ঘটনাটি ঘটে  মঙ্গলবার  পূর্বস্থলী-২  বিডিও দপ্তরে। এদিন পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বাম বিধায়ক প্রদীপ কুমার সাহা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে বলেন–  তিনটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। নিমদহ পঞ্চায়েতের যজ্ঞেশ্বরপুর গ্রামের শিশিলিয়া কিস্কু, লক্ষ্মী সরেন, রমেশ টুডু, আসান টুডু,  এবং উখুরা গ্রামের  সুন্দরী হেমরম, রানী টুডু, নরেশ হেমরম প্রমুখরা প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন। তাদের নামের টাকা  অন্যের একাউন্টকে চলে গেছে। কিন্তু প্রকৃত উপভোক্তারা টাকা পাননি | অনুরূপ ভাবে– মুকসিম পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুবরাজপুর গ্রামের বেশ কিছু মানুষের বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণের টাকা অনুমোদিত হয়। কিন্তু সেই টাকাও প্রকৃত উপভোক্তারা হাতে না পৌঁছে অন্যের পকেটে চলে গেছে । মাজিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব আটপাড়া গ্রামের দীনেশ রায় কোনদিন ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজই করেনি। অথচ তার নামে টাকা উঠেছে। এদিন  বিধায়কের লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি উপভক্তরাও ব্যক্তিগত ভাবে আলাদা আলাদা অভিযোগ জমা দেন | পূর্বস্থলী-২ বিডিও সৌমিক বাগচী বলেন– অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে যথাযথ  ব্যবস্থা নেওয়া হবে | পূর্বস্থলী-২ পঞ্চায়েত সমিতি সহ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা তপন চ্যাটার্জি একরকম অভিযোগের  কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন– নিমদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন দলীয়  পঞ্চায়েত সদস্য চার জন আবাসন প্রকল্পের উপভোক্তার  টাকা নিজের একাউন্টে নিয়েছিলেন। তিনি পরে প্রকৃত উপভোক্তাদের দিয়ে দিয়েছেন। আর শৌচাগারের অর্থ গায়েবের ঘটনা অনেক পুরানো।


Advt

Related posts

শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত শ্রীরামপুর কলেজের প্রফেসরের শাস্তির দাবীতে ডেপুটেশন

E Zero Point

মেমারির মহেশডাঙ্গা ক্যাম্পে খাদ্রসামগ্রী দান

E Zero Point

প্রাক্তন বিধায়কা হাত ধরে অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন

E Zero Point

মতামত দিন