09/12/2023 : 1:42 PM
কৃষি-পরিবেশ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০ – দিগন্তিকা বসু

দিগন্তিকা বসু

আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতি বছর পরিবেশ সচেতনতার উদ্দেশ্য এই দিনটি পালিত হয়। ১৯৬৮ সালের ২০ মে সুইডেন সরকার জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠায়। ওই বছরেই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭২ সালে ৫ জুন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ সম্মেলন শুরু হয়েছিল , চলেছিল ১৬ জুন অবধি। যা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে পরিবেশ এর বিষয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘ সম্মেলনের প্রথম দিনেই অর্থাৎ ৫ জুনকে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরই আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে দিবস টি পালিত হয়। এ বছর প্রতিপাদ্য হ’ল ‘প্রকৃতির সময়’ । করোনা আবহে মাত্র কয়েক মাসে সময়ের মধ্যে প্রকৃতির সুসংগত রূপ ফিরে আসতে শুরু করেছে । যা সমগ্ৰ পৃথিবী তথা জীব জগত অনুভব করতে পারছে।
আমাদের চারপাশের সকল কিছুই পরিবেশের অংশ। পরিবেশের এই উপাদানগুলির সুষ্ঠু রূপই হল সুস্থ পরিবেশ। কোনো কারণে এই সুসংগত রূপের ব্যাঘাত ঘটলে পরিবেশ দূষিত হয়, তা আমাদের জানা। জানা থাকলেও এখনো আমারা অবহেলা করে চলেছি। আগামী দিনে আরো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এই কারনে জল,বাতাসকে নির্মল রাখতে হবে। গাছ,জলাশয়কে না বাঁচাতে পারলে কোনো প্রাণীই বাঁচবে না। পরিবেশ ধ্বংস করে নগরায়ন, কলকারখানা স্থাপন, অত্যাধিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেসিনের ব্যবহার, ইট ভাটা স্থাপন, কলকারখানা ইত্যাদি নানা কারণে বায়ুমণ্ডল দূষিত হচ্ছে। পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর নিম্নভূমির দেশসমূহের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যেতে পারে সমুদ্রের তলায়। ভারতের পূর্বাঞ্চল, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপের নিম্নভূমি সমূহ এই বিপদের হাত থেকে রেহাই পাবে না। পরিবেশ রক্ষায় তথা যার যত টুকু সাধ্য তত টুকু দিয়েই চেষ্টা করা দরকার পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য করে রাখার জন্য। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ না করা এবং অন্যকে সচেতন করার শপথ নেওয়া।
নানাবিধ রোগ-ব্যাধির কারনে পৃথিবী জুড়ে মৃত্যুর খবর শুনি কিন্তু পরিবেশ দূষণের ফলে প্রতি বছর কত মানুষ মারা যায় সে খবর আমরা রাখি না। কারণ পরিবেশ দূষণ সরাসরি যত না মৃত্যুর কারণ তার তুলনায় অনেক বেশি অন্য কোনো রোগ তৈরি করে পরোক্ষভাবে মৃত্যুর কারণ ।নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনেই আর ভাবার সময় নাই এখনি শপথ নিতে হবে পরিবেশ রক্ষার।

কিছু তথ্য – উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া।

Related posts

থাইরয়েডে থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায়

E Zero Point

স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকারের কৃষিতে ১.৬ লক্ষ কোটির প্যাকেজ

E Zero Point

নতুন হিমঘর প্রকল্পগুলি থেকে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯০৪ জন কৃষক লাভবান হবেন : হরসিমরত কাউর বাদল

E Zero Point

মতামত দিন