নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ রেশনের আটায় প্লাষ্টিক। এক জনের নয় গোটা পাড়ায় সবার। বর্ধমান শহরের ২৩ নং ওয়ার্ডের আঞ্জিরবাগানে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। লক-ডাউন ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন উপভোক্তারা। চাল ও আটা মিলছে একেবারে বিনামূল্যে। আঞ্জিরবাগানের উপভোক্তারা রেশন ডিলারের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহের মত এবারেও রেশন নেন। সেখান থেকে পুষ্টিযুক্ত আটা ছাপ মারা আটা বাড়ি এনে তাদের চক্ষু ছানাবড়া। রুটি বানাতে গেলে আটা ছানতে হয়। সেইভাবে ছেনে আটা মাখতে গিয়ে তারা দেখেন আটার মধ্যে প্লাষ্টিক। একজনের নয় প্রায় প্রত্যেকেরই। ভয়ে সেই আটা খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। দোকান থেকে কেনা আটা কিংবা আগে রেশন থেকে আনা আটা কিন্তু স্বাভাবিক। গরিব পরিবারগুলো সমস্যায় পড়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মন্ডল সাফ জানিয়েছেন ওই আটা উপভোক্তারা ফেরত দিন। ওই আটা নেবেন না। আটা খারাপ বা এইধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন এখনো সরকারিভাবে কোনো অভিযোগ তিনি পাননি পেলেই ব্যবস্থা নেবেন।
অন্যদিকে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে এক বিজ্ঞাপনে জানা যাচ্ছে যে, গণবন্টন ব্যবস্থায় বিলি করা আটা ১০০ শতাংশ নিরাপদ এবং আটাতে কোন প্লাসটিক থাকে না। যা থাকে গুলেটিন নামক প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট একটি প্রোটিন, যার উপস্থিতিতে আটা মাখা অবস্থায় চটচটে হয় ও ইলাস্টিকের মত আচরণ করে।
উপভোক্তাদের এই নিয়ে বিভ্রান্ত হতে মানা করা হয়েছে। কিন্তু সঠিকভাবে সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি দূর এখনও হয়নি এই ব্যাপারে।