জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, অতনু ঘোষ, মেমারি, ২০ ডিসেম্বর ২০২১:
তীব্র শীতের প্রকোপে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে । বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছেন, যারা অভাবের কারণে সামান্য শীতের বস্ত্রও ব্যবহার করতে পারছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরও নিচে নামতে পারে তাপমাত্রার পারদ।
রাতে কম্বল আর নকশিকাঁথা ব্যবহার করে অনেকে আরাম-আয়েশে ঘুমাচ্ছে। একটু খেয়াল করলে আমরা দেখব চারপাশে অনেক প্রতিবেশী আছে, যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে।
ফুটপাতে অসংখ্য মানুষ শীতের থাবায় জর্জরিত। রাস্তার উপর শুয়ে থাকা শিশুটি শীতে কাতরাচ্ছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ছোট ছোট শিশু ঘুমাতে পারছে না। এসব এলাকায় দেখা যায় বয়োবৃদ্ধ মানুষ আর ছোট শিশুরা প্রচণ্ডভাবে কাঁপছে। অনেক পাহাড়ি শিশু ও বৃদ্ধ খুব কষ্টের মধ্যে আছে। এই তীব্র শীতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের যখন খালি গায়ে দেখি তখন খুব কষ্ট হয়।
তাই এবার শীতার্ত মানুষের অসহায় জীবনের কথা ভেবে তাদের পাশে এসে দাঁড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা টিম “আঁচল” পৌঁছে গিয়েছিল পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত রাণীপুর কোলিয়িরি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং আশেপাশের গ্রামে।
রবিবার সেখানের সার্টিন, ধাওড়া, কেয়া কানালি, সাল কানালি, ভীম বাড়ি, কেলিয়াসোতা ,উপর পাড়া,আহিরবাড়ি,নডিহা,ধাদকা ডাঙা,চালমারা,মহেশ নদী প্রভৃতি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শ’তিনেক দুঃস্থ পরিবারকে শীতবস্ত্র এবং প্রায় পাঁচশপঞ্চাশ জন শিশুকে শীতের কানবাঁধা পট্টি প্রদান করে তারা।
এছাড়াও প্রান্তিক মহিলাদের কথা মাথায় রেখে টিম আঁচলের পক্ষ থেকে আঁচলের নিজস্ব প্রোজেক্ট “নারী”র স্যানিটারি প্যাড দেওয়া হয়।আঁচলের এই কর্মকাণ্ডে ঐকান্তিক সাহায্য করেন রাণীপুর কোলিয়ারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী ও আবহমান সেচ্ছাসেবী সংস্থা।