বিশেষ সংবাদঃ তামিলনাডুর নিম্ন আয়ের লোকেদের জন্য আয়ত্তের মধ্যে আবাসন প্রকল্পের সুযোগ করে দিতে কেন্দ্র ও তামিলনাডু সরকার, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ফার্স্ট তামিলনাডু হাউজিং সেকটর স্ট্রেংদেনিং প্রোগ্রাম প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি মার্কিন ডলারের ও তামিলনাডু হাউসিং অ্যান্ড হ্যাবিটেট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থ সাহায্যর চুক্তির ফলে রাজ্যে আবাসন ক্ষেত্রে উন্নতি হবে।
আবাসনের জন্য রাজ্যের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ব্যবস্থা করার পরিবর্তে নাগরিকরা যাতে সহজেই নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী বাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেন, ২০ কোটি মার্কিন ডলারের ফার্স্ট তামিলনাডু হাউজিং সেকটর স্ট্রেংদেনিং প্রোগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে নিম্ন আয়ের নাগরিকদের জন্য বেসরকারী সংস্থাগুলি যাতে আবাসন প্রকল্প তৈরি করে, তার জন্য উৎসাহ দেওয়া হবে।
ঋণ সংক্রান্ত চুক্তির জন্য কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক বিষয় দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শ্রী সমীর খারে এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের জন্য ভারত শাখার নির্দেশক শ্রী জুনায়েদ কামাল আহমেদ স্বাক্ষর করেন। প্রকল্প সংক্রান্ত চুক্তির জন্য তামিল নাডু সরকারের মূখ্য রেসিডেন্ট কমিশনার শ্রী হিতেশ কুমার এস মাকওয়ানা এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের জন্য ভারত শাখার নির্দেশক শ্রী জুনায়েদ কামাল আহমেদ স্বাক্ষর করেন।
শ্রী খাড়ে বলেন, তামিল নাডু সরকারের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ অনুসারে সকলের জন্য নিরাপদ ও সাধ্যের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা অন্যতম লক্ষ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহরাঞ্চল) ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই দুটি প্রকল্পের ফলে রাজ্যের শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষরা উন্নত আবাসনের সুবিধে পাবেন।
তামিলনাডুর মোট জনসংখ্যার অর্ধেক শহরাঞ্চলের বাসিন্দা, ২০৩০ সালের মধ্যে রাজ্যের ৬৩ শতাংশ মানুষ শহরবাসী হবেন। এছাড়া শহরগুলিতে বসবাসরত ১৬.৬% মানুষ౼৬০ লক্ষ বস্তি এলাকায় থাকেন।
কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে শহরে দারিদ্র বৃদ্ধি, মানব সম্পদ ও জীবিকা সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে শ্রী আহমেদ আশংকা করেন। সেই দিক থেকে এই প্রকল্প গুলি পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষদের পক্ষে সহায়ক হবে।
একই সঙ্গে তামিলনাডু হাউসিং অ্যান্ড হ্যাবিটেট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের ৫ কোটি মার্কিন ডলারের প্রকল্পটি শহরাঞ্চলের আবাসনে আর্থিক সহায়তা দেবে। নবগঠিত তামিলনাডু শেল্টার ফান্ডকে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার অংশীদারীত্বের সাহায্য করবে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের ইউনহি কিম জানান, দ্রুত নগরায়নের এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ব উদ্যোগে আবাসনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। তামিলনাডু হাউসিং অ্যান্ড হ্যাবিটেট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রধান, নগরায়ন বিশেষজ্ঞ শ্রী অভিজিৎ শঙ্কর রায় জানিয়েছেন, এই দুটি প্রকল্প রাজ্যের আবাসন ক্ষেত্রে সংস্কার ও পরিবর্তন আনবে।