আলেক শেখঃ গত ১২ জুলাই রেল বেসরকারিকরণ, পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং শূন্যপদে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে রবিবার পৃথকভাবে সাইকেল মিছিল ও সভা করে যুবরা। ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের কালনা শহর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে চকবাজার সিপিএইএম পার্টি অফিস থেকে মিছিল শুরু হয়। সারা কালনা শহর পরিক্রমার পর পার্টি অফিসেই সংক্ষিপ্ত সভার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। বক্তব্য রাখেন যুব নেতা নেপাল সরকার।
অন্যদিকে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের কালনা-২ আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে কুলটি বাজারে সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বিরেশ্বর নন্দী, গৌতম হালদার, ত্রিদিব চ্যাটার্জি, জয়দীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন পিযূষ চ্যাটার্জি। বক্তারা বলেন– সরকার যেভাবে একটার পর একটা জনবিরোধী নীতি নিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলছে, তা মানুষ কোনভাবেই মুখ বুঁজে মেনে নেবেন না। তার প্রতিকার হবেই। ইতিমধ্যেই ১৫১ টি ট্রেন, ৯০ রেল ষ্টেশন এবং ১০৯ ট্রেন রুট বেসরকারিকরণ করেছে। এর চরম প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপর। মোদি সরকার গোটা দেশটাইকেই বিক্রি করে দিতে চাইছে। এ রাজ্যের শাসক দলের কোন কার্যকরী প্রতিবাদ নেই। যেটুকু হচ্ছে, সবটাই নাটুকেপনা। প্রকৃত প্রতিবাদ-আন্দোলন থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়। মানুষকে নিয়ে প্রকৃত আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলছে একমাত্র বামপন্থীরাই। তাই বামপন্থীদের প্রতিবাদ-আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রতিবাদ আন্দোলনকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেবে এরাজ্যের মানুষ। লালঝান্ডা হাতে তুলে নিয়ে মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।