নূর আহামেদঃ গত ১২ জুলাই রবিবার বিকেলে মেমারি থানার কিসকিন্দা গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে একজন কিশোর সহ ৬ জন আহত হয়। মেমারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকী তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায় যে, সেখ শহর আলি সরকারের স্ত্রী মর্জিনা বিবি (৫৫) রান্না করার সময় দেখেন গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ, অল্প অল্প করে গ্যাস বাইরে বেড়িয়ে আসছে। তৎক্ষনাৎ তিনি গ্যাস মিস্ত্রী কিতাবুল মল্লিককে খবর দিলে তিনি একটি টোটো করে বাড়িতে আসেন এবং সিলিন্ডার চেক করার সময় আরও বেশি লিকেজ দেখা যায়। এমতাবস্থা কিতাবুল মল্লিককের দেহ গ্যাসে ভিজে যায় তিনি টোটো চালক সেখ মইদুলকে ঘরে ডেকে নিয়ে আসেন এবং লাইট অন করতে বললে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বিরাট বিস্ফোরণ ঘটে আগুন লেগে যায় এবং ঘরের চাল উড়ে যায়। ঘরে থাকা ৬ জন আহত হয়ে যায়।
বিস্ফোরনের শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন এবং তাদেরকে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখ শহর আলি সরকার, সেখ সফিউদ্দিন, সেখ সরিফুল (৮)কে ছেড়ে দেওয়া হলেও গৃহিনী মর্জিনা বিবি, গ্যাস মিস্ত্রী কিতাবুল মল্লিক ও টোটো চালক সেখ মইদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থলে মেমারি থানার পুলিশ গ্যাস সিলিন্ডারটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে এবং গ্রামবাসীকে রবিবার রাতে কোন বাড়িতে গ্যাস অন করতে মানা করেন। উক্ত ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছেন।
প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য আজ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ত্রিপল ও আর্থিক সাহায্য বাগিলা পঞ্চায়েতের পক্ষ পঞ্চায়েত সদস্য প্রলয় পাল তুলে দিলেন।