জিরো পয়েন্ট নিউজ – আলেক শেখ, পূর্বস্থলী, ১৯ অগাস্ট ২০২০:
পতঙ্গ বাহিত রোগ ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে পূর্বস্থলী-১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে বুধবার দোগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়া হল। এই মাছ সমস্ত মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়ে উঠবে। আর সরকারের এই কর্মসূচি সুচারুভাবে রুপায়ন করলেন গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা। দোগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের সুপারভাইজার কৃপেশ বিশ্বাস জানান– সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে আমরা যুক্ত থাকি। গ্রামে গ্রামে মানুষের বাড়িতে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা বর্তমানে নোভেল করোনা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করছি। তার পাশাপাশি পূর্বস্থলী-১ ব্লক প্রশাসনের নেওয়া গাপ্পি মাছ ছাড়ার কর্মসূচিতেও যুক্ত হয়েছি। উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ সম্পদ কর্মী আছেন ২৫ হাজার। মাসিক সাড়ে তিন হাজার টাকা ভাতায় রাতদিন এক করে এদের কাজ করতে হয়। এই রাজ্যের গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের দাবি—কেরল, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যগুলোতে গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা বেতন পান ১৪ হাজার টাকা। তাহলে পশ্চিমবঙ্গ কেন পারবে না ? এই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আধিকারিক সহ জনপ্রতিনিধিদের স্মারকলিপি দিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত শুকনো আশ্বাস ছাড়া গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি। ইতিপূর্বেও মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন– ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পরেই গ্রামীন সম্পদকর্মীদের একটা সিস্টেমের মধ্যে এনে সম্মানজনক মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সেই সিস্টেমে এখনো পর্যন্ত চালু হয়নি।