আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি বাঙালির শারদ উৎসবের। কোন বায়না না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা। যদিও বা দুই একটা পুজো উদ্যোক্তা আসছেন, তাদের প্রতিমার বাজেট খুবই কম। অল্প খরচে ছোট ছোট প্রতিমা গড়ার কথা বলছেন। অন্যদিকে প্রতিমাশিল্পীদের দাবি— মাটি, দড়ি, কাঠ,বাঁশ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। অথচ প্রতিমার বাজেট বাড়া দূরের কথা, তৈরির বরাতই মিলছে না এবার। এমত অবস্থায় কালনার প্রতিমা শিল্পীরা একজোট হয়ে– তাঁরা স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বজিত কুন্ডু, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সমস্যার কথা জানিয়ে তারা সাহায্যের আর্জি জানান। প্রতিমা শিল্পীদের দাবি— করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন এর জেরে তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। গ্রীষ্মের মরশুমে তবু কিছুটা মাটির সামগ্রীর চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এবার লকডাউন এর জেরে সে সব সামগ্রী বাইরে পাঠানো যায়নি। অনেক কারখানায় তাই তালা পড়ে গিয়েছে। কর্মী রেখে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সংসার চালিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করার মত আর্থিক সংগতি অনেকেই হারিয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে সরকারি আর্থিক সহায়তার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। প্রতিমা শিল্পীদের এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে কম সুদে ঋণ দিক সরকার। নচেত কারখানা চালু করাই মুশকিল হবে। কারখানা চালু হলে শুধু শিল্পীদের পরিবারই নয়, সেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আরও অনেকেই উপকৃত হবেন। এর পাশাপাশি সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে সহায়তা প্রকল্পের ঘোষণা করেছে, তাদের ক্ষেত্রেও এই রকম সহায়তা প্রকল্প ঘোষণা করা হোক। সর্বভারতীয় অনুন্নত কুম্ভকার সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি বিনয় কুমার পাল বলেন — আমার সমিতি প্রতিমা শিল্পীদের উল্লেখিত দাবিগুলি আদায়ে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। কারণ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে প্রতিমা শিল্পীদের, এখন তাদের বেঁচে থাকার লড়াই।
কালনায় প্রতিমা শিল্পীরা চরম বিপাকে
জিরো পয়েন্ট নিউজ – আলেক শেখ, কালনা, ২৭ অগাস্ট ২০২০: