28/04/2024 : 4:41 PM
আমার দেশকৃষি-পরিবেশ

কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং কৃষির আমূল পরিবর্তনে লোকসভায় আজ পেশ হল তিনটি বিল

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০:


লোকসভায় আজ দেশের কৃষির আমূল পরিবর্তন ঘটানো এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষে তিনটি বিল পেশ করা হল। এই বিলগুলি গত ৫ই জুনের অধ্যাদেশের স্থান নেবে। অধ্যাদেশগুলি হল:

১. কৃষিজ পণ্যের ব্যবসা ও বাণিজ্য (প্রসার ও সুবিধা) সংশোধনী ২০২০
২. মূল্য নিশ্চয়তা সংক্রান্ত কৃষক সমঝোতা (ক্ষমতায়ণ ও সুরক্ষা)এবং কৃষি পরিষেবা সংশোধনী ২০২০
৩. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য (সংশোধনী ২০২০)

কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ এবং গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর আজ প্রথম দুটি বিল পেশ করলেন এবং উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাওসাহেব দানভে তৃতীয় বিলটি পেশ করলেন লোকসভায়। বিল পেশ করার জন্য অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, এতে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে কৃষি পণ্যের অবাধ বাণিজ্য সম্ভব হবে এবং কৃষকরা তাদের ইচ্ছামত লগ্নিকারী বেছে নেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবেন। তিনি বলেন এই পদক্ষেপগুলি অতি সাম্প্রতিক যা সরকারি নীতি অনুযায়ী সারা ভারতের কৃষকদের কল্যাণে একগুচ্ছ পদক্ষেপের অন্তর্গত।

কৃষিজ পণ্যের ব্যবসা ও বাণিজ্য (প্রসার ও সুবিধা) সংশোধনী ২০২০-এ তে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে যাতে কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা কৃষিপণ্যের কেনাবেচায় পছন্দ করার স্বাধীনতা ভোগ করবেন। দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং অবাধ আন্তঃরাজ্য এবং অন্তরাজ্য কৃষিপণ্যের ব্যবসা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উচিত মূল্য পাওয়ার সুবিধা তৈরি করবে। ইলেকট্রনিক ব্যবসার সুবিধাও পাওয়া যাবে রাজ্য ভিত্তিক কৃষি পণ্য বাজার আইনের মাধ্যমে।

মূল্য নিশ্চয়তা সংক্রান্ত কৃষক সমঝোতা (ক্ষমতায়ণ ও সুরক্ষা)এবং কৃষি পরিষেবা সংশোধনী ২০২০-এতে কৃষি চুক্তি একটি জাতীয় কাঠামো তৈরি হবে যা সুরক্ষা দেবে এবং ক্ষমতায়ণ করবে কৃষকদের যাতে তারা কোন কৃষি পণ্য বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে, প্রক্রিয়াকরণকারীর সঙ্গে, পাইকারের সঙ্গে, রপ্তানীকারক বা বড় খুচরো বিক্রেতার সঙ্গে কৃষি পণ্য পরিষেবা সংক্রান্ত চুক্তি করতে পারে। এছাড়াও মৌখিকভাবে সম্মত উচিত মূল্যের ভবিষ্যত বিক্রির ব্যবস্থাও করতে পারে, যাতে স্বচ্ছতা এবং দূর্নীতিমুক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য (সংশোধনী ২০২০)-এর লক্ষ্য খাদ্যশস্য, ডাল, তৈলবীজ, খাদ্যের উপযুক্ত তৈল, পেঁয়াজ এবং আলুর মতো পণ্যগুলিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকা থেকে সরিয়ে নেওয়া। এরফলে বেসকারী লগ্নীকারিদের অতিরিক্ত আইনী কড়াকড়ি সম্পর্কে ভীতি কাটবে, চাষ করা, মজুত করা, পরিবহন, বন্টন এবং সরবরাহে স্বাধীনতা পাওয়ার ফলে বেসরকারী এবং বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ কৃষিক্ষেত্রে বাড়বে এবং অর্থনীতি গতি পাবে।

Related posts

দেশে ইস্পাতের ব্যবহার বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা

E Zero Point

টেট উত্তীর্ণদের মেয়াদকাল ৭ বছর থেকে বাড়িয়ে আজীবন

E Zero Point

জটিল কোভিড পরিস্থিতি ও লকডাউন সত্ত্বেও বিপিপিআই ২০২০-২১ এর প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৪৬.৫৯ কোটি টাকার রেকর্ড লেনদেন করেছে

E Zero Point

মতামত দিন