জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০:
স্বাস্থ্যের বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তাই এ ধরনের কোনও তথ্য বা পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় স্তরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের কাছে নেই। অবশ্য, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ বিমা প্যাকেজের আওতায় যাঁরা বিমার সুবিধা নিয়েছেন, তাঁদের তথ্য জাতীয় স্তরে রাখা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্য সরকারগুলিকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলা সম্পর্কিত নীতি-নির্দেশিকা দিয়ে থাকে। গত মার্চ মাসে এ ধরনের রোগ-ব্যাধি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যগুলিকে নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজিত হয়। এছাড়াও, আইগট প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সংক্রামক রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যগুলিকে সংক্রামক রোগ-ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতেও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর নজর রাখার জন্য একজন নোডাল আধিকারিককে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে এমন ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রক গত ১৮ জুন হাসপাতালগুলিতে কোভিড ও কোভিড-বহির্ভূত চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পরামর্শ জারি করেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য হাসপাতালগুলিতে পিপিই কিটের ব্যবহার সম্পর্কে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণ প্রতিরোধে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত ২২ মার্চ ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপৎকালীন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে প্রস্তুত রাখার জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল অনুমোদন করে। রাজ্যগুলিকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য এই তহবিল বরাদ্দ করা হয়। এছাড়াও, রাজ্যগুলিকে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা ও প্রতিরোধে ৩ কোটি ৫ লক্ষ এন-৯৫ মাস্ক এবং ১ কোটি ২০ লক্ষ পিপিই কিট দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ প্যাকেজের আওতায় কোভিড-১৯ জনিত স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে চারজন চিকিৎসক, চারজন এএলএম কর্মী, দু’জন আশাকর্মী সহ মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।