05/12/2023 : 8:22 PM
আমার দেশ

কৃষক-অধিকার সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে জয় কিষান আন্দোলনের সিকিম রাজ্য ইউনিট স্থপিত

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, কলকাতা/গ্যাংটক,  ১২ জুলাই ২০২২:


ভারতের ১১টি রাজ্যে সক্রিয় জাতীয় স্তরের কৃষক এবং ক্ষেতমজুর সংগঠন জয় কিষান আন্দোলন আজ সিকিম রাজ্যে তার ১২তম রাজ্য ইউনিট চালু করলো। শ্রী কেদারনাথ তিওয়ারিকে সিকিম রাজ্যের সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে জয় কিষান আন্দোলনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি শ্রী প্রবীর মিশ্রের উপস্থিতিতে জয় কিষান আন্দোলনের জাতীয় সভাপতি শ্রী অভিক সাহা শ্রী তিওয়ারীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জয় কিষান আন্দোলনের পতাকা তুলে দেন।

শ্রী অভিক সাহা বলেন: “জয় কিষান আন্দোলন আজ সিকিমে তার কৃষক-কেন্দ্রিক কার্যক্রম প্রসারিত করেছে। সিকিম, যে রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৮০% কৃষক, তাদের জন্য অ্যাজ একটি ঐতিহাসিক দিন। প্রতিটি রাজনৈতিক দল কৃষকদের সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু নির্বাচনের পরে প্রতিশ্রুতিগুলি হাওয়ায় মিলিয়ে যায়৷ জয় কিষান আন্দোলন নিশ্চিত করবে যাতে কৃষকদের দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পালন করা হয় এবং সরকার সমস্ত কৃষকদের জন্য স্থায়ী জীবিকা নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়।”

শ্রী কেদারনাথ তিওয়ারি বলেন: “জয় কিষান আন্দোলন শীঘ্রই গ্রামে গ্রামে যাত্রা শুরু করবে যার মাধ্যমে ৬ মাসের মধ্যে সিকিমের প্রতিটি গ্রামে ইউনিট স্থাপন করা হবে৷ আমরা দক্ষিণ সিকিম জেলার লিঙ্গি সোকপে গ্রামে জয় কিষান আন্দোলনের প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেছি৷ জয় কিষাণ আন্দোলন বর্তমান সরকারকে কৃষকদের প্রতি তাদের ইশতেহারের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে বাধ্য করবে। জয় কিষাণ আন্দোলনের স্বদেশী সার কারখানা, স্বদেশী বীজ ভান্ডার এবং স্বদেশী কীট-প্রতিষেধক কারখানার আদলে একটি মডেল খামার স্থাপন করা হবে লিঙ্গি সোকপে গ্রামে এবং ধীরে ধীরে সিকিমের প্রতিটি জেলায়। জয় কিষান আন্দোলনের জাতীয় নীতি অনুযায়ী সুস্থায়ী চাষের মডেল চালু করা হবে। জয় জওয়ান, জয় কিষান!”

শ্রী প্রবীর মিশ্র বলেন: “সিকিম সহ সর্বত্র কৃষকরা চিরকাল অবহেলিত। সিকিমে কোন কৃষক সংগঠন সক্রিয় নেই। এটি একটি বড় ত্রুটি ছিল যা এখন শুধরে নেওয়া হয়েছে জয় কিষান আন্দোলনের মাধ্যমে। আমরা সিকিমের প্রতিটি কোণে প্রতিটি গ্রামে সংগঠন বানাব। আমরা কৃষকদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করব এবং আমরা নিশ্চিত করব যে বর্তমান সরকার এবং সমস্ত সরকার কৃষকদের স্বার্থের বিষয়ে চিন্তিত এবং সক্রিয় হয়।”

 

Related posts

গত ১০ দিনে ভারতীয় রেল মহারাষ্ট্র থেকে ৪৩২টি ও দিল্লি অঞ্চল থেকে ১১৬৬টি বিশেষ ট্রেন চালিয়েছে

E Zero Point

আজ সীমান্তে ভারত-চিন বৈঠক, এলএসি-তে বাড়ছে উড়ান গতিবিধি

E Zero Point

ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাসিউটিকাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ -এর মোহালি ও রাইবেরিলি শাখার পর্যালোচনা

E Zero Point

মতামত দিন