চাঁদে আবারও মানুষের পা পড়তে যাচ্ছে, তবে এবার সেটি হবে একজন নারীর। ২০২০ সালে ঘটবে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি।
ডয়চে ভেলে অনলাইন জানায়, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওই চন্দ্রাভিযানে থাকবে একজন নারী নভোচারী।
চাঁদের সাউথ পোলে নামবে চন্দ্রযানটি। নাসার এই চন্দ্রাভিযানকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আবার চাঁদে যাচ্ছি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ও নতুন আবিষ্কারের জন্য। নতুন প্রজন্মের অভিযাত্রীরা এই অভিযানে প্রেরণা পাবেন।’
তবে এ চন্দ্রাভিযানের জন্য এবারের বড়দিনের মধ্যেই মার্কিন কংগ্রেসকে ৩২০ কোটি ডলারের অনুমোদন দিতে হবে। তারপরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। ল্যান্ডিং মডিউলের জন্যই লাগবে ১৬০ কোটি ডলার।
এই প্রকল্পের কয়েকটি ধাপ রয়েছে। প্রথমে নাসা মানবহীন একটি যান পাঠাবে ২০২১ সালে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে যাবেন মহাকাশচারীরা। এই চন্দ্রাভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস।
এই অভিযানের বৈশিষ্ট্য হলো, এই প্রথম একজন নারী চাঁদে যাবেন। আর এই প্রথম চাঁদের সাউথ পোলে গিয়ে পরীক্ষার কাজ চালানো হবে।
এর আগে ১৯৬৯ ও ১৯৭২ সালে চাঁদে নেমেছিল মহাকাশযান অ্যাপোলো। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আগের অভিযান থেকে এই অভিযান সম্পূর্ণ আলাদা। আগে মনে করা হতো, চাঁদ পুরোপুরি শুকনো। কিন্তু এখন আমরা জানি যে, চাঁদে বরফ আছে, সেটাও সাউথ পোলে।’
১৯৬৯ সালে চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং। তারপর চাঁদে পা রেখেছিলেন এডউইন অ্যালড্রিন। চাঁদে পা রাখার পর আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘আ জায়েন্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড।’
তারই ধারাবাহিকতায় এবার চাঁদে পা রাখবেন একজন নারী। এটাও নিঃসন্দেহে মানবসভ্যতাকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।