দেবাশীষ মজুমদার
করোনা এই কথাটার গুরুত্ব কতখানি,তা বোঝা যায় যখন কোন শিক্ষিত বেকার কর্মহীন হয়ে বাড়ী বসে থাকে,যখন একজন পিতা পরিবারের উপার্জনকারী সদস্য হয়ে ও হতাশার মধ্যে থাকেন,যখন কোন শিশু মাঠের খেলা ছেড়ে গৃহবন্দী জীবন কাটায়।
একদিকে কর্মহীন হয়ে পড়া যুবসমাজ,রোজগারহীন হয়ে পড়া একমাত্র বাড়ীর কর্তা, শৈশবের দিনগুলোর জীবনে অনাবিল আনন্দ মিস করা শিশুগুলো।
এই সব বিষয় গুলো মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর ভীষণ ভাবে রেখাপাত করেছিল। চরম হতাশা এবং জীবন যন্ত্রনার নিদারুণ কষ্টের ছবি ফুটে উঠেছিল সমাজে। রাস্ট্রের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সংগঠন গুলি এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রকমের সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করেছিল।
তবে টীকা আবিস্কার নিয়ে অনেক কৌতুহল,জিজ্ঞাসা প্রশ্ন হয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞানের হাত ধরে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তার পরে ও আবার তৈরী হয়েছে নতুন করোনা আতঙ্ক। তবে এই করানো আরো ভয়ঙ্কর এবং গভীর চিন্তার বিষয়। এক বছর এই করোনা আতঙ্ক বিরাজ করলে ও ইতিমধ্যে নতুন করে করোনার নতুন রুপ আসতেই বিভিন্ন রাস্ট্রে নতুন করে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক ডাউন শুরু হয়েছে।
তাই এবার সকলের সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতেই হবে নিজের প্রয়োজনে,সমাজের রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সচেতন হয়ে।সেই সঙ্গে রাস্ট্রকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সকলের নাগরিকদের জন্য খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে।তাহলেই সব নিয়মকানুন মেনে চলা সম্ভবপর হবে,নচেৎ মৃত্যু এবং করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই