স্কুলের পাঠক্রম বর্তমানে পুনরবিন্যাস হয়েছে কয়েক বছর আগেই। না না পাঠ্যক্রম যুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে, বাদ গেছে বিভিন্ন পাঠও ! রক্তদান আন্দোলনের সাথে যুক্ত সমাজকর্মীরা চাইছেন এবার মাধ্যমিক পাঠক্রমে আবশ্যিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে যুক্ত করা হোক রক্তদান সম্পর্কিত না না পাঠ।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার না না ঔষধ তালিকায় একদম প্রথম নামটি রক্তের । বিভিন্ন প্রয়োজনে রক্তের দরকার পরে বহু মানুষের। কিন্তু আজও না না অজ্ঞতায় এখনও যথেষ্ট পরিমাণে রক্তদাতা পাওয়া যায় না অনেক সময়। অনেকেই ভাবেন রক্তদানে শারিরীক সমস্যা হতে পারে। আদতে নিয়মিত সময় অন্তর রক্তদানের ফলে মানবশরীর বিভিন্ন মারণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
রক্তদানের ফলে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা হয়ে যায় বিনামূল্যে। এছাড়াও অজ্ঞতার কারণে বহু মানুষ জানেনই না “টাটকা রক্ত” বলে কিছু নেই। অনেকে ভাবেন মজুত রক্তের চেয়ে তৎক্ষণাৎ দান করা রক্তের কার্যক্ষমতা বেশী, যা সম্পূর্ণ ভুল। এক ইউনিট রক্ত থেকে যে রক্তের না না প্রকার ভাগ হয় সেটাও জানা নেই অনেকের।
আর এইসবের সুযোগ নিয়েই অসাধু দালাল চক্র কোথাও কোথাও অস্থিরতা তৈরী করে। নিকট আত্মীয়ের অসুস্থতাতেও অনেকে রক্ত দিতে চান না না না অজুহাতে এই বিষয়ে সঠিক পাঠ না থাকায়। সরকারী ও বেসরকারী মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে সচেতনতা শিবির হলেও আবশ্যিক উপলব্ধী অনেকেরই হয়না।
তাই এই সব কিছু নিয়েই ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমে রক্তদান বিষয়ক সচেতনতা মূলক আবশ্যিক পাঠক্রম মাধ্যমিক স্তরে অন্তর্ভুক্ত করলে একজন ব্যাক্তি ছাত্রাবস্থাতেই রক্তদানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝবে এবং অন্ধ ও ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্তি পাবে বলেই মত রক্তদান আন্দোলনের সাথে যুক্ত বিজ্ঞ দের যা যঠেষ্ট পরিমাণ রক্তের যোগান নিশ্চিত করবে ভবিষ্যতে বলেই মনে হয়।
-সন্দীপন সরকার
পাল্লারোড, পূর্ব বর্ধমান
আপনিও লিখতে পারেন পাঠকের কলমে। আপনার এলাকার বিভিন্ন সমস্যা হোক কিংবা সাম্প্রতিক বিষযে আপনার মূল্যবান মতামত ছবি সহ ইমেইল করুন zeropointpublication@gmail.com অথবা ওয়াটসঅ্যাপ করুন 9375434824 কিংবা 7793731771 নাম্বারে