জিরো পয়েন্ট বিশেষ সংবাদদাতা, ৭ মার্চ ২০২৩:
কৃষকের জন্য কুমির কান্না সব রাজনৈতিক দলই করেন একথা অনস্বীকার্য কিন্ত এখনও কি কোন প্রকৃত রাজনৈতিক দল আছে যারা কৃষকের অভাবের কথা ভাবে? এমনিতেই আলু চাষে কোনবছর চাষীরা কোন বছর লাভের মুখ দেখেন তো কোন বছর ক্ষতির। আর তার সাথে সাথে আলু আলু তোলার মরশুমে শুরু হতেই খবরের শিরোনামে থাকে কিছু আত্মঘাতী চাষীর খবর।
সোমবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা -১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বেগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজখাড়া গ্রামের আলু চাষী ইসমাইল শেখ (৫৫) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন। মঙ্গলবার কালনা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। মৃতের বড় ছেলে শরিফুল শেখ জানান — এই মরশুমে আলুর ফলন একেবারেই কম। আলুর দাম না থাকার কারণে উৎপাদনে খরচই উঠছে না। তাই ঋণে জর্জরিত হয়ে বাবা আত্মহননের পথ বেছে নেন।
জানা যায় মৃত ইসমাইল শেখ বিভিন্ন জায়গা থেকে সুদে টাকা নিয়ে ৭ বিঘা জমিতে ঠিকা নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন । বাজারে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল। ভেবেছিলেন আলু চাষ করে পরিশোধ করে দেবেন। কিন্তু ফলন এবং দাম না থাকায় উৎপাদন খরচটুকু উঠবে না জেনে বাবা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। গত বছর অকালবৃষ্টির কারণে দু দুবার আলু লাগাতে প্রচুর টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্বাভাবিকের থেকে ফলন অনেক কম হওয়ায় লাভ তো দূরে থাক, উৎপাদন খরচটুকুও ওঠেনি।
ইসমাইল শেখের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে আসা প্রতিবেশীরা বলেন– রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কৃষকের আয় তিন গুণ হয়েছে। তাহলে কৃষকরা আত্মঘাতী হচ্ছেন কেন ?