জিরো পয়েন্ট নিউজ, মেমারি, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ :
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ ব্লকের পাল্লারোড প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় গত সত্তরের দশকে। এরপর কাজ শুরু এবং সব শেষে গত নব্বই এর দশকের শেষদিকে আউটডোর ও ইনডোর পরিষেবার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো , প্রায় দুই ডজন কোয়ার্টার এবং অপারেশন থিয়েটার , রুগী ভর্তির সকল ব্যবস্থাপনা সহ কয়েক একর জুড়ে তৈরী এই হাস্পাতালের শুধুমাত্র বহিরবিভাগের উদ্বোধন হয়।
সেই থেকে আজ অবধি প্রায় তিন দশক পার করেও পরিষেবা বেড়েছে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে, আজও চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার সহ অন্তর্বিভাগ।
এলাকার সমাজসেবী সন্দীপন সরকার জানান পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে কোয়ার্টার গুলি , পুরোদমে হাস্পাতাল চালু হলনা, মানুষ আরো ভালো পরিষেবা পেলনা সে নিয়ে আক্ষেপের অবকাশ নেই, কিন্তু অন্যভাবে ভেবে দেখা দরকার সাধারণ মানুষের করের টাকায় কয়েক কোটি খরচে বানানো পরিকাঠামো সময়ের ফেরে উঁই পোকায় খেয়ে শেষ করে দিল , এর জন্য দায়ী কে ? যদি না চালু করারই উদ্দেশ্য ছিল তাহলে সরকারী তহবিলের টাকা খরচ করে পরিকাঠামো বানানোর দরকার কি ছিল !
জানা যায় বহুবার বিভিন্ন স্তরে আবেদন নিবেদনেও পুরোমাত্রায় চালু হয়নি হাস্পাতাল, রাজ্যে পালাবদলের পর কিছু অতিরিক্ত পরিষেবা যুক্ত হয়েছে এখানে কিন্তু সম্পূর্ণ পরিকাঠামো এখনও অব্যবহৃত হয়েই নষ্ট হচ্ছে !
অন্যত্র যেখানে প্রয়োজনীয় জায়গা কিংবা পরিকাঠামোর অভাবে সর্বোচ্চ রুগী পরিষেবা দিতে অপারাগ হচ্ছে স্থানাভাবে , সেখানে পাল্লারোড প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কয়েক একর জায়গা আর বড় বড় ভবন গুলি দিনের দিনের পর দিন ধসে পড়ার অপেক্ষা করছে !
যদি হাস্পাতাল্টি পুরোদমে চালু করা সম্ভবপর না হয় বা সরকার বাহাদুর মনে করেন যে এটি সম্পূর্ণভাবে চালুর প্রয়োজনীয়তা নেই তাহলে নিদেন পক্ষে হাস্পাতাল চত্বরে থাকা সরকারী ভবন গুলিতে যে কোনো দপ্তরের অফিস কিংবা যে কোনো ভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করুন, সাধারণ মানুষের করের টাকায় তৈরী সম্পত্তি এইভাবে নষ্ট হওয়া ঠিক না