জিরো পয়েন্ট নিউজ, মেমারি, ১৯ জুন ২০২৪ :
বর্তমানে বিভিন্ন উপায়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারনা করা হয় একাধিক চক্রের মাধ্যমে। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় অভিনব কায়দায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল একটি গ্যাং। এই গ্যাংয়ের খপ্পরে পড়ে অনেকেই, বিশেষ করে বয়স্ক মহিলারা প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ আসছিল। পুলিশের কাছে এই প্রতারণার খবর থাকলেও চক্রের পান্ডারা নাগালে আসছিল না। ফলে পুলিশের ইন্টেলিজেন্স বিভাগ এই চক্রটিকে ধরতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। শেষমেষ মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার পুলিশ তিনজন প্রতারককে মেমারি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ধরে ফেলে মেমারি থানায় নিয়ে আসে।
মেমারি থানার ওসি দেবাশীষ নাগ জানান, অনেকদিন ধরেই খবরটা আসছিল আর সেই মতো পুলিশ নজরদারি মোতায়েন ও করেছিল বিশেষ বিশেষ জায়গায়। ১৮ জুন মঙ্গলবার সকালবেলা পুলিশ গোপন সূত্রের মাধ্যমে যখন খবর পায় যে মেমারি বাসস্ট্যান্ডে ৩ জন অজানা ব্যাক্তি সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছে , তৎক্ষণাৎ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিনজন অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
জানা যায় দীর্ঘ জেরা র পর তাদের এই অভিনব প্রতারণার রহস্য ফাঁস হয়| জানা যায় এই তিনজনে মিলে এক অভিনব উপায়ে প্রতারণার ছক বানায় l প্রথমে তারা কিছু বান্ডিল তৈরি করে যেগুলোর ওপরে কিছু ১০০ টাকা বা ৫০০ টাকার নোট দিয়ে আটকানো থাকতো এবং ভেতরে কিছু নকল নোট ও কাগজ বিয়ে বাকি বান্ডিল ভরা থাকতো l
এরা সাধারণত বাসস্ট্যান্ড বা স্টেশনের মত জায়গায় বয়স্ক মহিলাকে টার্গেট করতো l এরপর এই গ্যাং এর একজন সাধারণ যাত্রী সেজে তার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো এবং অন্যদিকে আরেকজন গ্যাং মেম্বার নোটের বান্ডিল গুলো নিয়ে এসে বলতো যে কেউ একজন ভুল করে ফেলে গেছে সেগুলি নিয়ে সে এখন কি করবে বুঝতে পারছে না l
এরপর নোটের বান্ডিল গুলোকে তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাব রাখতো এবং বিভিন্ন অছিলায় মহিলাকে প্রলোভিত করে নকল নোটের বান্ডিল গুলির পরিবর্তে তার গয়না অলংকার হাতিয়ে সেখান থেকে চম্পট দিতো l
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তৎপরতায় ও সক্রিয়তায়, অতি চালাকদের গলায় দড়ি না পড়লেও হাতে হাতকড়া অবশ্যই পড়ল। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং যথোপযুক্ত ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা যায়।