জিরো পয়েন্ট নিউজ – পারিজাত মোল্লা, মঙ্গলকোট, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ :
আস্তানা শারিফ-এ- কাদেরিয়া-এ- এরশাদিয়া পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে বাংলার সুবিখ্যাত পীর হুযুর কেবলা হযরত সৈয়েদেনা ও মাওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলি আলকাদেরীর ১৯ তম উরস মোবারক সম্প্রীতি সাড়ম্বরে পালিত হয় রবিবার।কেবলা হযরত বড় পীর সাহেব পীরানে পীর শ্যায়খ মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানি (রহ:)-র ২১ তম বংশধর। ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পূর্বপুরুষ ইরাকের বাগদাদ শহর থেকে দ্বিন প্রচারের উদ্দেশ্যে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ও বিহারের পূর্ণিয়ায় আসেন।ওইদিন এই উরস উৎসবে বাংলাদেশ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ মঙ্গলকোটে ভিড় জমান৷
প্রেম প্রীতি ভালবাসার বার্তা দিতে এই উরস বলে জানান উরশ উৎসব কমিটির সম্পাদক আনসার মন্ডল ( এজেপি – কলকাতা হাইকোর্ট)। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে উরস মোবারক আস্তানা শরীফ-এ- কাদেরিয়া এরশাদিয়া (হযরত সৈয়দ এরশাদ আলী রোড) বাংলার সুবিখ্যাত পীর হুজুর কেবলা হযরত সৈয়েদেনা ও মওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলী আল কাদেরীর ১৯ তম উরস মোবারক সম্প্রীতি সাড়ম্বরে পালিত হয়।
এদিনকার উরস উৎসবের সভাপতিত্ব করেন বড় হুজুর কেবলা হজরত সৈয়দোনা ওয়া মাওলানা সৈয়দ শাহ ফাদিল এরশাদ রাশুদ আল কাদেরী।ছোট হুজুর কেবলা হজরত সৈয়দানা ওয়া মাওলানা সৈয়দ শাহ ওয়ামিকুল এরশাদ মিরশাদ আল কাদেরী উরশ উৎসবে কোরাণ ও হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।এদিন উরসে দশ হাজারের বেশি ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের সমাগম ঘটেছিল বলে জানা গেছে।
রবিবার আস্তানা শরিফে অনুষ্ঠিত হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উরস উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রি স্বপন দেবনাথ, স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রহিম মল্লিক প্রমুখ । এদিন উরসে আগত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন -” প্রতি বছর এই আস্তানা শরিফে আসি।শান্তি – সৌভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধন অটুট থাকুক, এই কামনা করি “। মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষাগুরু হামিদ বাঙালির সমাধিস্থল রয়েছে এই মঙ্গলকোট গ্রামেই।