নূর আহামেদঃ শুধুমাত্র নেশাদ্রব্য না পাওয়ায় আজ সাত সকালে মেমারি থানার মন্ডলগ্রামে সন্তান তার জন্মদাত্রী মাকে খুন করলেন। এই ঘটনায় মন্ডলগ্রামে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। মেমারি থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে মেমারি-২ ব্লকের মন্ডলগ্রামের পূর্বপাড়ায়। গোপাল সরকারে স্ত্রী বন্দনা সরকার (৫৫)-কে তার ছেলে তাপস সরকার (২৬) কাটারী দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করেন। সে নিজেই খুন করার পর বাড়ীর লোকেদের ডেকে বলে, “আমি সর্বনাশ করে ফেলেছি তাড়াতাড়ি গাড়ি ডাকো” বলেই সে ঘরে ঢুকে যায়। তার বৌদি ঘরে এসে দেখে রক্তাক্ত দেহ মাটিতে পড়ে আছে এবং তাপস সরকার মায়ের পাশে বসে আছে। পুরো ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
তাপস সরকারের বাবা গোপাল সরকারের সাথে কথা বলে জানা গেল যে, ছেলে তার মাকে খুব ভালোবাসতো। লকডাউনের ফলে তার টোটো চালানো বন্ধ ছিল এবং কিছুটা মানসিক অবসাদে ভুগছিল। কিছুদিন ধরে বিড়ির নেশা হয়েছিল খুব এবং প্রায়ই শ্মশানে বসে থাকতো। আজ ভোরে তিনি যখন গোয়ালে গিয়েছিলেন তখনই বিড়ি চাওয়া নিয়ে মায়ের সাথে বচসা বাঁধে এবং সম্ভবতঃ রাগের মাথায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি ও তার বাড়ির লোকজন মনে করছেন তাপস সরকারের উপর ঠাকুর ভর করেছে। গ্রেপ্তারের সময়ও তাপস সরকার নিজে বলতে থাকে যে তার উপর শিবঠাকুর ভর করেছে।
মেমারি থানার পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছেন এবং বাড়িটি সীল করা হয়েছে। পুলিশ তাপস সরকারের কাছে খুনের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।