জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, নূর আহামেদ, মেমারি, ৬ অগাষ্ট, ২০২০:
দেশ ও রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও কিন্তু করোনা ও লকডাউন নিয়ে রাজ্যের নিয়মে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তির শিকার। কিংবা বলা যেতে পারে জনসংযোগের অভাবের ফলে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
ঘটনায় প্রকাশ গতকাল মেমারি ৩ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর পাড়াতে এক ১১ বছর বয়সের কিশোরে করোনা আক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদিন চললো প্রশাসনিক-পারিবারিক টানাপোড়ন। প্রথমে বাড়ির লোক সরকারী রিপোর্ট অস্বীকার করে এবং তার নতুন রিপোর্ট করানোর জন্য নিজ উদ্যোগে বর্ধমানে প্রাইভেট হাসপাতালে রিপোর্ট করার জন্য নিয়ে চলে যায়। একজন করোনা আক্রান্তকে কিভাবে ব্যক্তিগত ভাবে এবং কোন স্বাস্থবিধি না মেনে পাঠানো হয় এই অভিযোগ মেমারি থানায় করার পর, পুলিশের তৎপড়তায় তাকে মাঝরাস্তা থেকে ফিরিয়ে আনা হয় এবং হোম আইসোলেশনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিছু সময় পরে জানা যায় কিশোরের মা-এর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছে এবং তাকেও হোম আইসোলেশনে রাখা হয়। সমগ্র ঘটনায় পাড়া-প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত হয়ে পরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান যে, বাইরে রাজ্য থেকে আসার পরও তারা অবাধে পাড়ায় ঘুরেছেন, মানুষের সাথে মিশেছেন। কিশোরের করোনা ধরা পরার পরও তাকে যাতে হাসপাতালে না পাঠানো হয় সে ব্যপারে প্রশাসনিক মহলে আবেদন করেছিলেন। তিনি আরও জানান যে, স্বাস্থ্যকর্মীরা আশেপাশের সকলের প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা মানুষদের তাপমাত্রা মাপার যে যন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন সেটা বিকল ছিল, ঠিকমতো কাজ করছিল না। প্রশাসনের এব্যপারে নজর দেওয়া উচিৎ।
অন্যদিকে এই একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি ঘটে মেমারি পৌরসভার উপকন্ঠে তাতারপুর গ্রামে। সেখানে এক ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর, তাকেও হোম আইসোলেশনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মেমারি জি টি রোড অবরোধ করেন কিছুক্ষণের জন্য। পরে পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায় এবং গ্রামবাসীদের চাপে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সমগ্র ঘটনাক্রম নিয়ে মেমারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যআধিকারিক হর্ষ ঘোষ জানান যে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারে নতুন নোটিফিকেশন অনুসারে করোনার মৃদু উপসর্গ থাকলে তাদের নিজের ঘরে যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকে তাহলে হোম আইসোলেশনে থাকবেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন এসে পরীক্ষা করে যাবেন। তিনি মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকতে বলেন ও স্বাস্থবিধি মেনে চলতে বলেন।