04/05/2024 : 7:04 PM
আমার দেশ

জটিল কোভিড পরিস্থিতি ও লকডাউন সত্ত্বেও বিপিপিআই ২০২০-২১ এর প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৪৬.৫৯ কোটি টাকার রেকর্ড লেনদেন করেছে

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০:


জটিল কোভিড পরিস্থিতি ও লকডাউন সত্ত্বেও ব্যুরো অফ ফার্মা পিএসইউ অফ ইন্ডিয়া বা বিপিপিআই ২০২০-২১ এর প্রথম ত্রৈমাসিকে রেকর্ড ১৪৬ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকার লেনদেন করেছে। প্রধানমন্ত্রী জনঔষধি পরিযোজনার রূপায়ণকারী সংস্থা হ’ল বিপিপিআই। ২০১৯-২০’র প্রথম ত্রৈমাসিকে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৫ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। চলতি বছরের জুলাই মাসে বিপিপিআই ৪৮ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার লেনদেন করেছে। এর ফলে, জুলাই মাসের শেষে সংস্থার মোট বিক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।

দেশ জুড়ে লকডাউনের সময় জনঔষধি কেন্দ্রগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে এবং অত্যাবশ্যকীয় ওষুধপত্রের নিরবচ্ছিন্ন যোগান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারের অঙ্গ হিসাবে জটিল পরিস্থিতিতেও অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছে। জনঔষধি কেন্দ্রগুলি থেকে ১৫ লক্ষ ফেসমাস্ক, ২৮ লক্ষ হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ১ কোটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে। কেন্দ্রগুলি থেকে এই বিপুল পরিমাণ ওষুধ সামগ্রী বিক্রয়ের ফলে সাধারণ মানুষের প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

বর্তমানে জনঔষধি কেন্দ্রগুলি থেকে ১ হাজার ২৫০টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং ২০৪টি অস্ত্রপচার সামগ্রী বিক্রয় করা হয়। ২০২৪ সালের ৩১শে মার্চ নাগাদ ২ হাজারটি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং ৩০০টি অস্ত্রপচার সামগ্রী বিক্রয়ের লক্ষ্য স্থির হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হলে জনঔষধি কেন্দ্রগুলি থেকে  ডায়াবেটিক কার্ডিও ভাসকুলার, অ্যান্টি ক্যান্সার, অ্যান্টি অ্যালার্জিক, গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টিনাল, ভিটামিন এবং ট্রপিকাল মেডিসিনের মতো বিভিন্ন ধরনের ওষুধ গ্রাহকদের সুলভে বিক্রয় করা যাবে।
জনঔষধি কেন্দ্রগুলি থেকে পাওয়া ওষুধপত্রের দাম বাজারের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নামিদামী ওষুধের দামের তুলনায় ৮০-৯০ শতাংশ পর্যন্ত কম। কেন্দ্রগুলিতে যে সমস্ত ওষুধ বিক্রয় করা হয়, সেগুলি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান্যতা অনুযায়ী উৎপাদিত ওষুধের জন্য খোলা টেন্ডার আহ্বান করে সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহের পূর্বে ওষুধগুলি জাতীয় স্তরে স্বীকৃত পরীক্ষাগারগুলিতে ২টি পর্যায়ে গুণমান যাচাই করে দেখা হয়।

উল্লেখ করা যেতে পারে, জনঔষধি কেন্দ্রগুলির মালিকদের মাসিক-ভিত্তিতে ক্রয় করা ওষুধের ওপর ১৫ শতাংশ হারে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হয়। এই ভাতা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে এখন ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। এদিকে উত্তর-পূর্বের রাজ্য, হিমালয় সংলগ্ন এলাকা, দ্বীপভূমি এবং পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে এ ধরনের কেন্দ্র খোলার জন্য এককালীন ২ লক্ষ টাকা উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। মহিলা উদ্যোগী, দিব্যাঙ্গজন, তপশিলি জাতি বা উপজাতির ব্যক্তিরা জনঔষধি কেন্দ্র খোলার জন্য ২ লক্ষ টাকার উৎসাহ ভাতা পেয়ে থাকেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে সুলভ মূল্যে গুণগত মানের ওষুধ সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় ফার্মাসিউটিকাল দপ্তর জনঔষধি কর্মসূচির সূচনা করে।

Related posts

নতুন শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন

E Zero Point

বিশ্বের বৃহত্তম স্টার্টআপ ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশে রয়েছেঃ প্রধানমন্ত্রী

E Zero Point

৫টি রাজ্যের সংক্রমণের হার এবং সংক্রমিতদের মৃত্যুর ঘটনা বেশীঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রক

E Zero Point

মতামত দিন