27/04/2024 : 4:39 AM
আমার দেশআমার বাংলা

নতুন শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ২৩ মার্চ ২০২১:


বিদ্যালয় শিক্ষা, এমনকি উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নে একাধিক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত এই নতুন শিক্ষা নীতিকে সর্বজনীন ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করা হয়েছে। শৈশবকালে গুণমান সম্পন্ন শিক্ষা এবং ৩-৬ বছরের মধ্যে সমস্ত শিশুর শিক্ষাদানের বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। ৫+৩+৩+৪ হিসেবে নতুন পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষাগত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কলা এবং বিজ্ঞান শিক্ষার মধ্যে কোনো কঠোর বিভাজন রাখা হয়নি।
এমনকি বৃত্তিমূলক ও মূল শিক্ষাক্ষেত্র এবং পাঠ্যক্রম ও অতিরিক্ত পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত কার্যকলাপের মধ্যে কোনো বিভেদ  রাখা হয়নি। ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউম্যারেসি বিষয়ে জাতীয় মিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বহু ভাষা এবং ভারতীয় ভাষার প্রচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অন্তত পক্ষে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার মাধ্যমে, এমনকি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বা তার পরেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাতৃভাষা, স্থানীয় ভাষা এবং আঞ্চলিক ভাষা পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
একটি নতুন জাতীয় মূল্যায়ণ কেন্দ্র স্থাপন, কর্মক্ষমতা মূল্যায়ণ, পর্যালোচনা এবং সর্বজনীন উন্নয়নের জন্য জ্ঞানের বিশ্লেষণ- ‘পরখ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ক্ষেত্রে  সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা বঞ্চিত গোষ্ঠীগুলির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সুবিধা বঞ্চিত অঞ্চল ও গোষ্ঠীগুলির জন্য বিশেষ শিক্ষা অঞ্চল ও একটি পৃথক অন্তর্ভুক্তি তহবিল গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও মেধা ভিত্তিক কর্মক্ষমতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়ার জন্য ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির মাধ্যমে একটি প্রবেশিকা পরীক্ষার সূচনা করা হয়েছে।
একাধিক শাখায় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দূরবর্তী এবং মুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে গড় অন্তর্ভুক্তির হার বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এমনকি শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় পেশাগত শিক্ষাকে যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ, পরামর্শদাতাদের জন্য জাতীয় মিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যুব এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণ মোকাবিলা ও বন্ধ করার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
    জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ ঘোষণার আগে ও পরে শিক্ষাবিদ সহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বিশদ আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমনকি মাই গভ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার এবং অন্যান্য পক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ আহ্বান করা হয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা দপ্তর জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিষয় ভিত্তিক বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে। একইভাবে ইউজিসি এবং অখিল ভারতীয় কারিগড়ি শিক্ষা পর্ষদ উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী গঠন করেছে।
    জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাস্তবায়নের জন্য একাধিক উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। এরজন্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্য জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।    লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক।

Related posts

বেআইনি মদ উদ্ধার মেমারিতে

E Zero Point

লোকসঙ্গীতকে বাঁচিয়ে রাখার স্বপ্ন বুনছে মেমারির তিথি

E Zero Point

আগামীকাল থেকে কিছু চেনা ছন্দে ফিরতে চলেছে মেমারি ষ্টেশন

E Zero Point

মতামত দিন