জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০:
কোভিড-১৯এর জেরে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানের জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেত হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। জি-২০ সদস্য দেশগুলির শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকে একথা জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের সকলকেই অনেক কিছু নতুন শিখিয়েছে এবং আমাদের কাজ করার পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে দিয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জি-২০ সদস্য দেশগুলির সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে তিনি শ্রমিকদের সমস্যা হ্রাস করার কথা তুলে ধরেন। এই প্রসঙ্গে তিনি ভারতে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে ও যথার্থ মজুরি প্রদানের জন্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলির কথা উল্লেখ করেন। শ্রী গাঙ্গোয়ার আরও জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা, তাদের খাবার ও চিকিৎসার সুবিধা প্রদান করার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্যশস্য বিতরণও করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ চালু করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এদিনের বৈঠকে কোভিড-১৯এর জেরে জি-২০ সদস্য দেশগুলির মধ্যে সৃষ্ট সমস্যার নিরসনে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়।
জি-২০ সদস্য দেশগুলির যুব সম্প্রদায়ের দিশা নির্ধারণে নেওয়া পদক্ষেপের উচ্ছসিত প্রশংসা করেন শ্রী গাঙ্গোয়ার। যুব সমাজের অগ্রগতির জন্য জি-২০ সদস্য দেশগুলি এই প্রথমবার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে। এতে শ্রম বাজারে বিশেষ সহায়তা প্রদান করবে বলেও মতপ্রকাশ করেন তিনি। ভারতের যুবরা উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা এবং শিল্পক্ষেত্রে দক্ষতা বিকাশে আগামীদিনে মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শ্রী গঙ্গোয়ার।
তিন বলেন, ভারতে সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা প্রদান এবং আর্থিক সুনিশ্চয়তা প্রদানের মতো একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য এক অনন্য পেনশন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে সরকার এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকরা সমানভাবে অর্থ জমা করতে পারবেন। এতে এইসব শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে।
এবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলির মধ্যে লিঙ্গ সমতার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে মহিলা শ্রমশক্তির বিকাশে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। নারীদের খনির কাজ সহ সকল প্রতিষ্ঠানে সমান কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে নারীদের সুরক্ষা এবং সম্মান দুটিই রক্ষা পেয়েছে। ভারতে নারীদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার জন্য কোনরকম বন্ধকী ছাড়াই ঋণ প্রদানের সুবিধাও প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।