05/05/2024 : 11:57 AM
দুর্গাপুজো সংবাদবনেদিবাড়ির দুর্গাপুজো

৮৭ বছরের ব্যানার্জ্জী বাড়ির পুজো

অরুপ ব্যানার্জী


মহালয়ার ভোরে নীল আকাশে আলোর বেণু বাজছে,আনন্দ লহরী বয়ে চলেছে পুকুর,নদী,জলাশয়ে। শিউলি বাতাসে ছড়িয়ে দিয়েছে সৌরভ। গ্রামের জলাশয় এর পাশে আনাচে-কানাচে কাশফুল মাথা নেরেছে। ঘাসের উপর শিশির বিন্দু তে যেন মুক্তোর দ্যুতি। মহালয়ার মঙ্গল শঙ্খধ্বনি আর মায়ের হাসিতে সোনার সূর্য যেন পৃথিবীকে ভরিয়ে দিয়েছে রূপ মাধুরী তে…

নিরবছিন্নভাবে দীর্ঘ ৮৭ বছর ধরে আমাদের ব্যানার্জ্জী বাড়ির পুজো এই বেলডাঙ্গা গ্রামের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। পরিবারের সম্মিলিত প্রয়াসই আমাদের এই পুজো কে এগিয়ে নিয়ে যাবার একমাত্র রহস্য। আমাদের এই পুজো গ্রামের প্রতি অলিতে-গলিতে আনন্দধারা ছড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে ফুলের মতো বাচ্চাদের আনন্দ “চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে”…

আমাদের এই দীর্ঘ ৮৭ বছরের পুজো আমাদের পূর্ব-পুরুষেরা যেভাবে সামলে এসেছে, আমরা বর্তমান প্রজন্ম ও চেষ্টা করছি সেই রীতি মেনে চলার। এবং আমরা আশা রাখি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও এই রীতি বজায় রাখবে…

পুজো মানেই আনন্দ খাওয়া-দাওয়া। আর বাঙালিরা তো ভোজন রসিক। পুজোর কটা দিন চলে একটু বেনিয়ম, রাত জাগা,ঢ্যাং কুরা কুর বাদ্দি বাজা। ভোরে উঠে ফুল তোলা,শিউলি কুড়ানো আর নতুন জামা কাপড় পড়ে চলে আমাদের মাতৃ বন্দনা। এইভাবে হেসে খেলেই কেটে যায় সপ্তমী,অষ্টমী ও নবমী। দশমীর দিন যেন নিয়ে আসে বিদায়ের বিষাদের সুর। বাড়ির মায়েরা,বোনেরা,দিদিরা( আমাদের পরিবারের ছেলেরাও মেতে ওঠে সিঁদুর খেলায়)মাকে সিঁদুর পরিয়ে নিজেরা সিঁদুর খেলায় মেতে চোখের জলে মাকে বিদায় জানায়। মা আমাদের কোনোদিন ছেড়ে চলে যান না। তবুও নিয়মমাফিক মাকে বিদায় জানাতে হয় শুধু মাত্র পরবর্তী আগমনীর জন্য,এইতো চিরন্তন সনাতন প্রথা। আমরা আশা রাখি আমাদের ব্যানার্জ্জী পরিবারের পুজো যেমনভাবে চলে এসেছে যুগ যুগ ধরে এই প্রথা মেনেই তা অগ্রসর হবে। চলুন আমরা সবাই মিলে বলে উঠি “বলো দুর্গা মাই কি জয়”

Related posts

মার্কিনমুলুকে পুজোর গান

E Zero Point

এখনও পুজোর কোনা বায়না নেই, চিন্তায় পূর্বস্থলীর মৃৎশিল্পীরা

E Zero Point

দুর্গাপুজো উপলক্ষে দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্রদান মেমারিতে

E Zero Point

মতামত দিন