06/05/2024 : 1:13 AM
খেলা

আপনি কি জানেন কাতারের ফুটবল স্টেডিয়ামগুলির বিশেষত্ব কি?

জিরো পয়েন্ট নিউজ২১ নভেম্বর ২০২২:

১.লুসাইল স্টেডিয়াম: কাতারের সর্ববৃহৎ স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে একটি হল লুসাইল স্টেডিয়াম, যেখানে ৮০ হাজারেরও বেশি দর্শকদের একসাথে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ফ্যানার লন্ঠনের আলো ও ছায়াকে ধারন করে স্টেডিয়ামটির এক অলৌকিক রূপ ফুটে উঠেছে। বাইরের খোলা অংশ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা আলো সমস্ত স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে আলোয় ভরিয়ে তোলে। তাছাড়া এর নক্সা আরব অঞ্চলের হাতে তৈরি পাএ,বাড়িসহ শিল্পকলার মূল উপাদানগুলো রয়েছে।

২.আল-বাইত স্টেডিয়াম:এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান কাতারের আল খোর শহরে। শহরটি বিখ্যাত মুক্তা ডাইভিং এবং মাছ ধরার জন্য। স্টেডিয়ামটি ঐতিহ্যবাহী বাইত আল-শার তাঁবুর প্রতিকৃতি হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত মরুভূমিতে বসবাসের জন্য যাযাবরেরা তাঁবুর ব্যবহার করত। এই স্টেডিয়ামটিতে প্রায় ষাট হাজার মানুষের একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। টুর্নামেন্টের শেষে এর বেশিরভাগ আসন সরিয়ে বিভিন্ন দেশের ক্রিয়া প্রকল্পে দান করা হয়।

৩.আহমদ বিন আলী স্টেডিয়াম: মধ্য দোহা থেকে কুড়ি কিলোমিটার পশ্চিমে এই স্টেডিয়াম টি অবস্থিত। এতে দর্শকে আসন সংখ্যা প্রায় চল্লিশ হাজার।এই স্টেডিয়ামটির মধ্যে অবস্থিত একটি মেট্রো স্টেশন। এই স্টেডিয়াম টি নকশা এবং নির্মাণকাঠানো স্থানীয় আরব্য সংস্কৃতি ঐতিহ্য মিশ্রনে পূর্ণ হয়ে রয়েছে। সামনে থাকা বালুরটিলা স্থানীয় উদ্ভিদ প্রাণী জগৎ মরুভূমির সৌন্দর্যকে অপরূপ মহময় করে তুলেছে এবং স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিফলিত করেছে।

৪.আল-থুমামা স্টেডিয়াম: এই স্টেডিয়ামের অবস্থান দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে। মধ্যপ্রাচ্যে পরিহিত পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক কাহুফিয়া নামের টুপির আদলে এই স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। স্টেডিয়ামটির ভেতরে শীতল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সমস্ত মাঠটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভেনট স্থাপন করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের শেষে প্রায় কুড়ি হাজার আসন সরিয়ে বিভিন্ন দেশের ক্রিয়া প্রকল্পের দান করা হয়। পরবর্তীকালে এখানে বুটিক হোটেল তৈরি করা হবে এবং অ্যাসপেটার স্পোরটস ক্লিনিকের শাখা খোলা হবে। এই স্টেডিয়াম টি তে আসন সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।

৫.খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম: ১৯৭৬ সালে নির্মিত এ স্টেডিয়ামে এশিয়ান এশিয়ান গেমস ,এ এফসি এশিয়ান কাপসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।দোহা মেট্রো গোল্ড লাইন আর সঙ্গে এর যাতায়াতের সুব্যবস্থা রয়েছে। সুবিখ্যাত এই স্থাপত্যে চারপাশে রয়েছে আম্পায়ার ডোম আম্পায়ার পার্ক এবং আরো অনেক কিছু। এই স্টেডিয়াম টি তে অঙ্কিত আধুনিক নকশা সমস্ত মানুষের নজর করে। স্টেডিয়ামে যুক্ত করা সুবিশাল খিলান গুলো এই বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামটির ধারা বাহিকতার মুহূর্ত প্রতীক।

৬. এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম: এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান দোহা থেকে প্রায় সাত কিমি উত্তর পশ্চিমবঙ্গ এলাকার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যখানে। স্টেডিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম পরিবেশ বান্ধব স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়াম টি ‘ডায়মন্ড ইন দা ডেজার্ট’ নামেও পরিচিত। এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করতে প্রায় ২০% সবুজ কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়েছে। দিনের বেলা স্টেডিয়াম টি থেকে সূর্য কিরণের প্রতিফলন ঘটার কারণে স্টেডিয়ামটি আরো চমকপ্রদ হয়ে ওঠে যা সাধারণ মানুষের নজর করে।

৭. আল- জানুব স্টেডিয়াম: এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান আল-ওকরাহে। এই স্থানটি বিখ্যাত সমুদ্র থেকে মাছ ধরা মুক্তার চাষের জন্য। অতীতে এই স্থানের মৎস্যজীবীরা মুক্তার খোঁজে দূর সমুদ্রে যাত্রা করতেন। ই স্টেডিয়াম টি নকশা অলংকরণ করেছেন ইরাকি ব্রিটিশ স্থপতি জাহা হাদিত। এই স্টেডিয়ামটির বক্রাকার ছাদ এবং ভেতরের ও বাইরের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য দর্শকদের জাহাজের ভেতরে থাকার অনুভূতি দেয়। এই স্টেডিয়াম টির ভেতরে প্রায় ৪০হাজার মানুষের একসঙ্গে বসার সুব্যবস্থা রয়েছে।

Related posts

‘দাদা’ ভক্তরা পালন করল দাদার জন্মদিন

E Zero Point

মেমারি সাতগেছিয়ার ক্যারাটে শিক্ষক এবং অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করলো সর্বভারতীয় সংস্থা

E Zero Point

দিল্লী থেকে পদক জিতলো বর্ধমানের ক্ষুদেরা

E Zero Point

মতামত দিন