জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, কলকাতা, ২২ নভেম্বর ২০২২:
একাধিক ঘটনা নিয়ে রাজ্যরাজনীতিতে একদিকে যেমন উত্তেজনার আবহ তৈরি করেছে ঠিক তেমনই আলুচাষীদরে মাথায় হাত। নভেম্বরের শুরুতেই ধস নেমেছে হিমঘরে মজুত আলুর দামে। দাম আরও বাড়বে এই আশায় অনেক কৃষক এখনও হিমঘরে আলু রেখে দিয়েছিলেন। সেই আলুর দাম এখন প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলাতে হিমঘরে মজুত আলুর বন্ডের দাম অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে। এর ফলে বড় অঙ্কের লোকসানের আশঙ্কা করছেন বহু চাষি।
এবার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি আলু মজুত রয়েছে। জানা যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার হিমঘরগুলিতে এখনও প্রায় ৪০ শতাংশ আলু মজুত রয়েছে। আগামী দু মাসে সেই আলু খরচ হবে না। ফলে মরশুম শেষে লোকসানের বহর আরও বাড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সারা রাজ্যের হিমঘরগুলি থেকে আলু বের করে খালি করার নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের কৃষি বিপনন দফতর। গত ১ নভেম্বর সরকারি এই নির্দেশিকার পর থেকেই চরম দুশ্চিন্তায় সারা রাজ্যের আলু চাষী থেকে সংরক্ষনকারী ও ব্যবসায়ীরা। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে হিমঘরে মজুত বিপুল পরিমাণে সংরক্ষিত আলু কোনও ভাবেই বের করা সম্ভব নয় বলেও দাবি করা হয়েছে ব্যবসায়ী, সংরক্ষনকারী ও কৃষকদের তরফে। চরম ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে সরকারের কাছে হিমঘরে সংরক্ষিত আলুর রাখার সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তারা।
এদিকে মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে সোমবার আলু চাষীদের পক্ষ নিয়ে বিধানসভায় সওয়াল করলেন। তিনি বলেন, আলুচাষীদের চরম আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে হিমঘরগুলিতে আলু রাখার মেয়াদসীমা কিছুদিন বাড়ানো যায় কি না এব্যপারে রাজ্য এগ্রিমার্কেটিং-এর কাছে আবেদন করেছেন।
এছাড়াও তিনি বলেন মজুত আলু বিদ্যালয়গুলি তে মিড ডে মিল অন্যান্য কাজে চাষীদের কিছু পরিমাণে আর্থিক ক্ষতিপূরণ করা যায় কিনা সে ব্যপারে মুখ্যমন্ত্রী মমত ব্যানার্জীর কাছে আবেদন রেখেছেন।