06/05/2024 : 5:10 PM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমান

আউসগ্রামে শুরু হলো ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’ ও ‘দিদির দূত’ প্রকল্প

জিরো পয়েন্ট নিউজ – জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জ্জী,পূর্ব বর্ধমান, ১২ জানুয়ারী ২০২৩:


তৃণমূলের পক্ষ থেকে গত ২ রা জানুয়ারি নজরুল মঞ্চের মেগা দলীয় বৈঠক থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ও ‘দিদির দূত’ নামে দু’টি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঐ বৈঠকেই ঠিক হয় ১১ ই জানুয়ারি থেকে একই সময়ে সমগ্র রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি শুরু হবে। সেদিনই রাজ্যের পক্ষ থেকে কর্মসূচির একটা রূপরেখা তৈরিও করে দেওয়া হয়।কর্মসূচি সফল করার জন্য সেই রূপরেখা মেনে বিধায়করা নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু করে দেয় প্রচার। আউসগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।

কর্মসূচি সফল করার জন্য ও সর্বোচ্চ মানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এবং তৈরি করে দেওয়া সূচি মেনে আউসগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে প্রচারে নেমে পড়েন নিজ বিধানসভা এলাকার আউসগ্রাম অঞ্চলে। তার বুকে আঁটা ছিল ‘দিদির দূত’ ব্যাচ।

কর্মসূচি শুরু করেন বননবগ্রামের জনপ্রিয় হরিমন্দির থেকে। দল ও সবার মঙ্গলের জন্য সেখানে তিনি প্রার্থনা করেন। পরে তিনি যান ওয়ারিশপুর মসজিদে ও শিবমন্দিরে। দুটি পবিত্র স্হানেই তিনি সবার জন্য আর একদফা প্রার্থনা করেন। এরপর তিনি বননবগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রুগীদের কুশল জিজ্ঞাসা করেন এবং প্রত্যেকের হাতে তুলে দেন সামান্য কিছু ফলমূল। এমনকি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন এবং সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। যদিও ইতিমধ্যেই তিনি সবার স্বার্থে হাসপাতালের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন। যেটুকু বাকি আছে সেটাও দ্রুত শেষ করার জন্য তিনি সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসাবে রাজ্য নেতৃত্বের বেঁধে দেওয়া সূচি ও সময় অনুসরণ করে সমস্ত কর্মসূচি তিনি পালন করেন।

কর্মসূচি পালনের সময় বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাকে কথা বলতেও দ্যাখা যায়। তাকে দ্যাখার জন্য মাঝে মাঝে ভিড়ও জমে যায়। যদিও অতীতের মত এবারও তাকে কোনোরকম বিরক্তি অনুভব করতে দ্যাখা যায়নি। ঐসময় দু’জন দুস্থ মানুষের হাতে তিনি শীতের চাদর তুলে দেন। বিধায়কের ব্যবহারে তারা আপ্লুত হয়ে ওঠে।

কর্মসূচি পালনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সেখ সালেক রহমান, আউসগ্রাম ১নং ব্লক সভাপতি অরূপ সরকার, বিশিষ্ট সমাজসেবী ‘দাতা’ লালন সহ তৃণমূলের স্হানীয় নেতৃত্ব ও অসংখ্য তৃণমূল কর্মী।

বিধায়ক বলেন – মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বিধায়ক নির্বাচন করেছেন তাদের সেবা করার জন্য। ‘দিদির’ আদর্শ মেনে সারা বছর ধরে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। দিদির চালু করা সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা যাতে মানুষ পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করি। এখন এসেছি নির্দিষ্ট দলীয় কর্মসূচি পালন করতে। আশাকরি যেটুকু ত্রুটিবিচ্যুতি আছে সকল মানুষের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো তাড়াতাড়ি দূর করব। লক্ষ্য একটাই কাজের মাধ্যমে সমস্ত মানুষের হৃদয়ে দিদির নাম, তৃণমূলের
নাম গেঁথে দেওয়া।

Related posts

৩২তম ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধন বর্ধমান শহরে

E Zero Point

মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় করোনা নিয়ে আসছে রেল, সংক্রমণ হলে দায় কে নেবেঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

E Zero Point

আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস পালন মেমারিতে

E Zero Point

মতামত দিন