09/12/2024 : 6:19 PM
আমার বাংলাকলকাতা

মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় করোনা নিয়ে আসছে রেল, সংক্রমণ হলে দায় কে নেবেঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশেষ সংবাদ, কলকাতাঃ ভারত জুড়ে লকডাউনের মধ্যেও লাগাতার করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে বিভিন্ন রাজ্যে। দেশের মধ্যে যখন সবচেয়ে সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্র তখন সেখান থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে করে এরাজ্যে ফেরত পাঠিয়ে আসলে “বাংলায় করোনা ছড়াচ্ছে” ভারতীয় রেল, এমন অভিযোগ করেন রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রী।

দেশের বিভিন্ন রাজ্য যখন নিজের নিজের মতো করে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ঠিক সেই সময় বিনা অনুমতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিশেষ ট্রেনগুলো রাজ্যে পাঠিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তুলছে ভারতীয় রেল, এই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একদিকে করোনা সংক্রমণ। আর অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরছেন-হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ। যাঁরা আসছেন তাদের অনেকেই হটস্পট এলাকা থেকে আসছেন। বিশেষকরে মহারাষ্ট্র, চেন্নাই, দিল্লি, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের মতো জায়গা থেকে। অনেকেই শরীর খারাপ নিয়ে আসছেন।

মোট ২২৫ টি ট্রেন ভারতের নানা রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ৪১ টি শ্রমিক স্পেশাল আসবে শুধু মহারাষ্ট্র থেকেই। আর ওই রাজ্যেই এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক করোনা ভাইরাসের রোগী রয়েছে। আর তাই নিয়েই শঙ্কিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত কেবলমাত্র ১৯ টি ট্রেন এরাজ্যে এসেছে। কিন্তু সেই শ্রমিকদের মধ্যে থেকেই অনেকে করোনা পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়েছেন। রাজ্যের উত্তরভাগেও বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুরে যে পরিযায়ীরা ফিরেছেন তাঁদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ লাগাতার বাড়ছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রেল ইচ্ছে মতো ট্রেন পাঠিয়ে দিচ্ছে। যারা আসছেন তারা অনেকেই পজিটিভ হয়ে গিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছিলাম কন্ট্রোল করার। কিন্তু একসঙ্গে লাখ লাখ লোক এসে গেলে আমাদের হাতের বাইরে চলে যায়। এরা রাজ্যেরই মানুষ। আমাদের কথা শুনে যদি একটু হেল্প করতো রেল তাহলে এই সমস্যাট হতো না। আমারা যে প্ল্যান করেছিলাম তাতে ১৫ দিনের মধ্যে সবাই চলে আসতো। কিন্তু এতো লোক একসঙ্গে আসছে। এদের হেলথ স্ক্রিনিং কীভাবে করব! এরপর যদি বাংলায় শয়ে শয়ে হাজার হাজার লোকের করোনা হয় তার দায় কে নেবে! আপানারা চান বাংলাটা দিল্লি, মহারাষ্ট্র হয়ে যাক! আমারা ভাড়ার টাকা দিয়েছি। তারপরেও একটা সিটে তিন জনকে আনা হচ্ছে। রেল মন্ত্রক বলেছিল আমাদের কনসাল্ট করে করা হবে। কিন্তু তার পরেও চক্রান্ত করে এসব করা হচ্ছে।

Related posts

জামালপুরের বিভিন্ন জায়গায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপন

E Zero Point

রাজনীতিতে কদর্যভাষাঃ অরাজনৈতিক প্রতিবাদ পূর্বস্থলীতে

E Zero Point

ভাতারে একই জায়গায় পর পর দুদিন পথ দুর্ঘটনা

E Zero Point

মতামত দিন