পিআইবি সংবাদঃ উপরাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু আজ বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপাল ও প্রশাসকদের অনুরোধ করেন, যে তাঁরা যেন আধ্যাত্মিক/ধর্মীয় নেতাদের জমায়েত ও অনুষ্ঠান না করার পরামর্শ দেন। এর ফলে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ আটকাতে সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখা যাবে। উপরাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট রাজ্যে কৃষিকাজ, শস্য সংগ্রহর বিষয়েও রাজ্যপালদের সক্রিয় হতে বলেন।
রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোভিন্দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এক অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি অনুরোধ করেন, রাজ্যপাল/ উপরাজ্যপালরা যেন তাঁদের এলাকার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং, তাঁদের অনুগামীদের সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেন।
সাম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন এই ঘটনায় দেশ জুড়ে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। তিনি রাজ্যপাল ও উপরাজ্যপালদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “আপনাদের রাজ্যে যেন কোন ধর্মীয় জমায়েত করতে দেওয়া না হয়”।
উপরাষ্ট্রপতি আরো বলেন, কৃষি মরশুমে কৃষিকাজের প্রক্রিয়া যেন যথাযথ ভাবে হয়, রাজ্যস্তরের সংস্থাগুলি যেন সেটি নিশ্চিত করে। কৃষকরা যেন কোন সমস্যায় না পরেন এবং ১০০% শস্য যেন সংগ্রহ করা যায় সেদিকে উপরাষ্ট্রপতি জোর দেন।
কয়েকটি রাজ্য়ে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এগুলি নিন্দনীয় এবং দুর্ভাগ্যজনক। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই-এ চিকিৎসক, নার্স, সাফাই কর্মীদের মানুষের জীবনরক্ষা করার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন এই ধরণের ঘটনা ঘটলে তাঁরা হতোদ্যোম হয়ে পড়বেন। তাই এই সব হেনস্থার কারণ চিহ্নিত করে জনসাধারণকে বোঝাতে হবে, যে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ডাক্তার ও নার্সরা কাজ করছেন।
ছাত্রছাত্রীরা যেন অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে রাজ্যপাল ও উপরাজ্যপালদের প্রতি উপরাষ্ট্রপতি আহ্বান জানান। আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করে, তিনি বলেন, কেন্দ্র এদের দূর্দশা লাঘব করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। শ্রী নাইডু সাধারণ মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলেন।
প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সারা দেশে মেনে চলায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সামাজিক ব্যবধান যেন মেনে চলা হয়, তার উপরও তিনি গুরুত্ব দেন। জনসাধারণকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে চলতে উপরাষ্ট্রপতি আহ্বান জানান। চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিকদের তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও আই সি এম আর এর নীতি নির্দেশিকা তাঁরা যেন যথাযথভাবে পালন করেন।
কোভিড-১৯ মহামারী আটকাতে ৩৫ জন রাজ্যপাল, উপরাজ্যপাল ও প্রশাসক তাঁদের রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানান।