পিআইবি, নয়াদিল্লি, ০৬ এপ্রিল, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্ত্রীদের নেতৃত্বদানের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁদের নিরন্তর তথ্য প্রদান ও সংযোজন বিশেষ কার্যকর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানেত্রীদের রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে, বিশেষ করে যে সমস্ত জেলায় মহামারীর প্রভাব বেশি,সেইসব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ বজায় রাখতে বলেছেন। সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও জেলা প্রশাসনগুলিকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার পাশাপাশি, অন্যান্য সমস্যার সমাধানে নেতৃবৃন্দকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণবন্টন কেন্দ্রগুলিতে সাধারণ মানুষের ভিড় এড়ানোর ওপর জোর দিয়ে শ্রী মোদী নিরন্তর নজরদারি, কালোবাজারির অভিযোগগুলির ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর নজর দিতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কল্যাণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ফসল কাটার মরশুমে কৃষকদের সম্ভাব্য যাবতীয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে শ্রী মোদী অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনমূলক সমাধান সূত্র কাজে লাগানোর কথা বলেন, যাতে বাজারগুলির সঙ্গে কৃষকদের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলা যায়। আদিবাসী মানুষের উৎপাদিত সামগ্রী সংগ্রহে পৃথক কৌশল গ্রহণের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আদিবাসী মানুষের আয়ের উৎস যাতে অক্ষুন্ন থাকে, তা নিশ্চিত করার কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী নিরন্তর নজরদারি বজায় রাখার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’র সুফলগুলি যাতে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের আরও সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রতিরোধে উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দেন তিনি ।অত্যাবশ্যক ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জামের উৎপাদন অব্যাহত রাখার কথা বলেন। অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রীর সরবরাহ ও যোগান অব্যাহত রাখতে তৃণমূল স্তরে পরিকল্পনা গ্রহনের প্রসঙ্গও তিনি উল্লেখ করেন।
লকডাউন চলাকালীন গৃহীত ব্যবস্থা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি একই সঙ্গে কার্যকর করতে হবে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লকডাউন পর্ব শেষ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কার্যকর কৌশল গ্রহণও সমান গুরুত্বপূর্ণ। শ্রী মোদী লকডাউন পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়গুলি নিয়ে একটি তালিকা তৈরির জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন। উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, অন্য দেশগুলির ওপর নির্ভরশীলতার বিষয়টি নিয়ে ভারতকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির প্রসারে তিনি সমস্ত দপ্তরকে কাজকর্মের নিরিখে সূচক মেনে চলার পরামর্শ দেন।
অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ প্রভাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব কমাতে সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করবে। ভারতের রপ্তানির ওপর প্রভাব সম্পর্কে শ্রী মোদী উৎপাদন ও রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে মন্ত্রীদের কার্যকর প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ভারতের রপ্তানি বাড়াতে আরও নতুন নতুন ক্ষেত্র ও বিভিন্ন দেশকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। মহামারী সম্পর্কে তথ্য প্রচার ও সচেতনতার জন্য গ্রামাঞ্চল তথা তৃণমূল স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলিতে আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ আরও জনপ্রিয় করার জন্য শ্রী মোদী মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন।
#9pm9minute উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রীরা জানান, দেশের সমস্ত অংশের মানুষ এই উদ্যোগ সামিল হয়েছেন এবং মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত মানুষকে একজোট করেছে। প্রবাসী শ্রমিক, ভীতি ছড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার প্রতিরোধ, অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহ ও যোগান, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি দূরীকরণে মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াসগুলির প্রশংসা করেন।
সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা কোভিড চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেন। এই ভিডিও কনফারেন্সে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও সরকারের মুখ্য সচিব, ক্যাবিনেট সচিব এবং পদস্থ আধিকারিকরা অংশ নেন।