বিশেষ সংবাদঃ করোনার ভয়ে যখন দেশবাসী লকডাউনে গৃহবন্দী হয়ে হতাশায় ভুগছেন, ঠিক সেই সময় খুশির খবর এলো করোনার থেকে মারাত্মক ভাইরাসকে এনকাউন্টারে মৃত্যু হল “মোস্ট ওয়ান্টেড” জঙ্গি রিয়াজ নাইকুর। রিয়াজ নাইকুর মাথার দাম ১২ লক্ষ টাকা। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল এসপি বৈদ্য জানাচ্ছেন, হিজবুলের প্রাক্তন প্রধান বুরহান ওয়ানির পরে নাইকুই ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি। দক্ষিণ কাশ্মীর অঞ্চলে জন্মানো নাইকু পেশায় একজন অঙ্কের শিক্ষক ছিল। ২০১২ সালে সে জঙ্গি হয়ে যায়। কাশ্মীরের তরুণ সম্প্রদায়কে ফাঁদে ফেলে সন্ত্রাসবাদে দীক্ষিত করে তোলার কাজটি করতে নাইকু ছিল সিদ্ধহস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সে তার জাল ছড়াত। বহু তরুণ কাশ্মীরিকে জঙ্গি করে তোলার পিছনে ছিল নাইকুরই ইন্ধন।
জম্মু ও কাশ্মীরের অবন্তীপুরায় ওই শীর্ষ জঙ্গি কমান্ডারকে ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। এর আগে ওই জঙ্গি দমন অভিযান সম্পর্কে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র জানান, মঙ্গলবার রাতে ওই অপারেশন শুরু হয়। যে বাড়িতে ওই শীর্ষ জঙ্গি নেতা লুকিয়ে ছিল, সেটিকে ঘিরে ফেলে প্রবল গুলিবর্ষণ শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার রাত থেকে গুলির লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরের মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
আর একটি গুলির লড়াইয়ে জেলার পাম্পোরে অঞ্চলের শারশালি গ্রামে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। দুই এনকাউন্টারই এখনও চলছে। বিপুল গোলাগুলির কথা জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য গত রবিবার এক কর্নেল ও মেজর সহ পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মী জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে এক এনকাউন্টারে শহিদ হন। এরপর সোমবার একই এলাকায়য় এক সিআরপিএফ-এর দলের উপরেও হামলার ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় তিনজনের।