রামনারায়ণ চর্তুেবদী, বর্ধমানঃ গত ১৬ মে দিল্লীর করোলাবাগ থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ১ বছরের শিশু কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে বর্ধমান ফিরেছিলেন, শহর সংলগ্ন বেলকাশ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উদয়পল্লী এলাকার বাসিন্দা। তিনি দিল্লীতে সোনা-রুপোর কাজ করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি পরিবারকে নিয়ে দিল্লী গিয়েছিলেন। লকডাউনের জেরে পরিবার আটকে ছিল দিল্লীতেই। ফেরার সুযোগ হল, কিন্তু ফিরলেন করোনা নিয়ে। বাবা-মা নয়, করোনা গ্রাস করলো ফুটফুটে ১ বছরের শিশু কন্যার মধ্যে।
গত ১৭ মে এরপর বিধি অনুসারে তিনজনেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল কৃষি খামার কোয়ারইন্টাইন সেন্টারে। ইতিমধ্যে শিশুর শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ, কিন্তু বাবার রিপোর্ট এখনো আসেনি। প্রশাসন সূত্রে জানা যায় শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য মায়ের সঙ্গে কলকাতা পাঠানো হয়েছে।
একটি শিশুর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বর্ধমানের উদয়পল্লী এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুকন্যার সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককেই কোয়ারিন্টনে পাঠানো হয়েছে।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান যে, উদয়পল্লী এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা বাফার জোন হিসাবে গন্য হবে।
এই নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বাইরের রাজ্য থেকে এসেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় অন্যান্য রাজ্য থেকে যে হারে মানুষ বাসে করে ঢুকছে – তা ভবিষ্যতে জেলায় করোনা গ্রাফ উর্দ্ধমুখী হবে বলে মনে করছেন বিষেজ্ঞরা।