ব্রততী ঘোষ আলি, সুরাতঃ সমগ্র দেশে আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র এবং তার প্রতিবেশী রাজ্য গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৭১। গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। সুরাতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা
লকডাউনের মধ্যে গুজরাতের সুরাতে আটকা পড়া লোকদের জন্য ভালো খবর এলো। সুরাতে কর্মসূত্রে, অন্যান্য রাজ্যের কয়েক লক্ষ লোক রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নওসারী লোকসভার এমপি সি. আর পাটিলের অফিস থেকে একটি ওয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ভাইরাল হয়েছে যে, যারা নিজ নিজ গ্রামে যেতে চান তারা যানবাহনের ব্যবস্থা করে নিজ নিজ গ্রামে যেতে পারেন।
এই ওয়াটসঅ্যাপ মেসেজটি ভাইরাল হওয়ার পরে, জনগণের ভিড় এমপি কার্যালয়ে জড়ো হতে শুরু করে এবং লোকেরা ফর্ম নিতে শুরু করে। এ প্রসঙ্গে এম.পি. সি. আর পাটিল বলেছে, কেবল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তথ্যের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমোদনের পরে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানীর তথ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লকডাউন চলাকালীন সুরাতে ভিনরাজ্যের কর্মীরা ইতিমধ্যে গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য অশান্তি তৈরি করেছে। এর আগে, তারা দু’বার রাস্তায় এসেছিল এবং তাদের গ্রামে প্রেরণের জন্য বারবার সরকারকে অনুরোধ করেছে।
সুরাতে শহরে উত্তর প্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ কর্মসূত্রে বাস করে। লকডাউনের কারণে জীবিকার প্রশ্ন উঠেছে তাদের সামনে, এমন পরিস্থিতিতে এমপি সি.আর পাটিলের এই উদ্যোগ ভিনরাজ্যের মানুষের মধ্যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
এদিকে সুরত শহরের বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবাসায়ী বাসুদেব অধিকারী সুরত শহরের বাঙালিদের জন্য জানান যে, পাটিল সাহেবের উদ্দ্যোগ খুবই ভালো কিন্তু খুব জরুরী না থাকলে ঘরে ফেরার প্রয়োজন নেই। কারণ দুই রাজ্যই করোনা সংক্রামিত সেখানে রাজ্যের নিয়ম অনুসারে জরুরী ছাড়পত্র থাকলেও আপনাকে ভিন রাজ্য থেকে আগত হওয়ার কারণে ১৪ দিনের কোয়ারিন্টনে রাখা হতে পারে। আর তাছাড়া ৫৬ সিটের বাস কিংবা প্রাইভেট গাড়ি হলেও দীর্ঘ যাত্রায় যে কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে মানুষ। সুরাতে বিভিন্ন বাঙালি সমাজ থেকে সংস্থাগতভাবে ও ব্যক্তিগত ভাবে বাঙালিদের সাহায্য করা হচ্ছে প্রয়োজনে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন তিনি।