আজ মুসলিমদের খুশীর ঈদ। সারা বছরের মধ্যে সব থেকে এই রোযা মাসটা মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ মাস। নিজের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে,পরবর্তী পর্যায়ে সৎভাবে,ভালোভাবে থাকতে এই মাসটা মুসলিমদের বিরাট পাওনা। তবে দূঃখের বিষয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রুখতে ও প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে মসজিদকে পরিত্যাগ করতে হয়েছে। যা প্রত্যেক মানুষের কাছে এটা একটা বিরাট ইতিহাস। কারও জীবনে কোনদিন ঘটেনি এমন ঘটনা। আবার বছরে মাত্র একটি দিন ঈদগাহে নামাজ পড়তে যাওয়া হয়। আর নিজের শত্রু হলেও তার সঙ্গে সেদিন কোলাকুলি করে পূণরায় বন্ধুত্ব তৈরি করা হয়। সারাবছরের এই ইতিহাস এবারে স্তব্ধ হয়ে গেল। এবারে কোথায় নামাজ পড়বে তার কোন ঠিক নেই। কোন জায়গায় মসজিদে, কোন জায়গায় ঈদগাহে আবার কোন জায়গায় স্কুল কিংবা ফাঁকা মাঠে নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুসলিমরা। যতই ওয়াকফ বোর্ড কিংবা ইমাম সংগঠন মুসলিমদেরকে বাড়ীতে নামাজ পড়ার ফতোয়া দেন না কেন, তা মানতে নারাজ মুসলিমরা। তাই কে কোথায় নামাজ পড়বেন তা অজানা বহু সাংবাদিক। সাংবাদিকরা এতদিন বিভিন্ন এলাকায় ঈদের নামাজের ছবি ও খবর করতেন। এবারে বেশীরভাগ ঈদগাহ্ ও মসজিদে নামাজ হবে না। বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় কোথাও স্কুলে কিংবা কোথাও ফাঁকা মাঠে নামাজ হবে। বিভিন্ন বিঘ্ন অতিক্রম করে নামাজ পড়ার ইতিহাস সাংবাদিকদের তুলে ধরা ভীষণ কষ্টের বিষয়। সংঘবদ্ধভাবে মুসলিমরা যাতে নামাজ না পড়েন,তারজন্য প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে প্রচুর। মূলতঃ এবারের মুসলিম সম্প্রদায়ের নামাজ পড়া, প্রশাসনের দায়িত্ব পালন ও সাংবাদিকদের খবর পরিবেশন করা খুবই কঠিন কাজ। দেখা যাক সকলে কিভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট