পরাগ জ্যোতি ঘোষ, মঙ্গলকোটঃ গত ১৯ মে থেকে মঙ্গলকোটের দীর্ঘসোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। শিলিগুড়ি থেকে আগত ধনঞ্জয় মাঝি পাথর ভাঙ্গার এর কাজ করতেন। বিক্রম মাঝি এসেছেন আমেদাবাদ থেকে। তিনি সুতোর কাজ করতেন। সুরজিৎ মাঝি এসেছেন চেন্নাই থেকে। তিনি একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন আর অ্যালুমিনিয়াম মগ তৈরির কারখানাতে কাজ করতেন চেন্নাই থেকে আগত রাজু মাঝি। তারা সকলেই খুব ভালো আছেন। প্রত্যেকেই এই গ্রামের ছেলে। দীর্ঘসোয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে বিদ্যালয়ের তালাবন্ধ সদর দরজাতে দেখা। তিনি জানান বিদ্যালয়ের প্রাচীরের বাইরে থেকে তিনিও গ্রামের মানুষজন চাল-ডাল আনাজ সরবরাহ করেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে সকলেই সজাগ। আর পরিযায়ী শ্রমিকরাও খুশিমনে গ্রামের প্রতিবেশীদের কথা ও নিজ নিজ পরিবারের কথা মাথায় রেখে খুশিমনে দিন কাটাচ্ছেন সেন্টারে। তারা প্রত্যেকেই খেটে খাওয়া বাড়ির ছেলে তাই হোম কোয়ারিন্টনে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কথা মাথায় রেখেই গ্রামের মানুষজন ঠিক করেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় যাতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা যায় এবং এ বিষয়ে মঙ্গলকোটের বিডিও-র মৌখিক অনুমতিতে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়টিকে সেন্টার হিসেবে দেন। শ্রমিকদের সাহায্য করতে পেরে প্রধান শিক্ষক ও গ্রামের মানুষরা সকলেই বেশ খুশি। তারা মনে করেন এই দুর্যোগ কাটাতে সকলেরই সকলের পাশে থাকা দরকার। আর সম্মানজনক দূরত্ব বিধি মানলে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যেতে পারে। তারা আশাবাদী এভাবেই গ্রামের এই পাঁচজন ছেলে নিজেদের স্কুল বন্দি রেখে এবং সঠিকভাবে দূরত্ব রেখে দিনযাপন করছেন তা সকলের কাছেই একটা দৃষ্টান্ত।