13/09/2024 : 3:42 AM
আমার বাংলাদক্ষিণ ২৪ পরগনাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানমেমারি

জিরো পয়েন্ট-এর পরিচালনায় আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রবাসী বাঙালি

প্রেরণা দেঃ “মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?  ও বন্ধু….”। আমফানের তান্ডব লীলায় যখন রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলার মানুষ বিধ্বস্ত, তখনই কলকাতা থেকে ২০০০ কিমি দূরে গুজরাতের একজন প্রবাসী বাঙালির হৃদয়াঙ্গন অশ্রুসিক্ত, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আর এক মানুষের মন কেঁদে ওঠে পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

ডা. মৃণাল ভট্টাচার্য (সার্থক হাসপাতাল) ও তার জীবনসঙ্গীনি সুতপা ভট্টাচার্যের ফোন আসে জিরো পয়েন্ট-এর সম্পাদক আনোয়ার আলির কাছে, “ও বন্ধু…মানুষ মানুষের জন্যে। বল কি তোমার ক্ষতি, জীবনের অথৈ নদী,পার হয় তোমাকে ধরে দূর্বল মানুষ যদি।” গুজরাত নিবাসী ডা. মৃণাল ভট্টাচার্যর অনুপ্রেরণা ও আর্থিক সহযোগিতাকে পাথেয় করে পরিকল্পনা শুরু হল ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের।গত ৯ জুন জিরো পয়েন্ট রওনা হয়েছিল দক্ষিন ২৪ পরগনার কুলপি, কাকদ্বীপ, হারর্উড পয়েন্ট, পাথরপ্রতিমা, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জের গ্রাম্যএলকাগুলিতে। প্রায় ১০০টি ফুড প্যাকেট ও বিধ্বস্তের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হল।  এলাকার মানুষের চোখে দেখা গেল সেই রাতের বিভীষিকার প্রতিচ্ছবি, পথ-ঘাটে ধ্বংসলীলার খন্ড চিত্র।

কথায় আছে ভালো কাজের জন্য ভালো মানুষ পাশে থাকে। জিরো পয়েন্ট সাহিত্য আড্ডার সমস্ত কমিটি মেম্বার, মেমারি শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী জয়ন্ত সাহা, মেমারি ক্রিষ্টাল মডেল স্কুলের চেয়ারম্যান শৌভিক রায় চৌধুরী, গুসকরার চানক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জয় মন্ডল, শান্তনু চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী, লম্বদেব টুডু, প্রশান্ত টুডু, প্রশান্ত সরেন, তপা পাল, সেখ নেকমান আলি, কমলেশ মন্ডল, নূর আহামেদের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ করা হয় ত্রাণবিলি।

(বিস্তারিত সংবাদ জিরো পয়েন্ট ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে)

Related posts

অসহায় মানুষের পাশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দেশদ্রোহী’ ছাত্র-যুবরা

E Zero Point

পঞ্চায়েত কর্মীদের ডেপুটেশন গলসীতে

E Zero Point

রক্ষা কালী পুজোয় অন্নকূটে ভক্তদের ঢল

E Zero Point

মতামত দিন