আলেক শেখঃ কাটোয়া-ব্যান্ডেল রেললাইনের নবদ্বীপ ও সমুদ্রগর রেল ষ্টেশনের মাঝে জালুইডাঙ্গা গ্রামে আবার ব্যাপক ভাগীরথী নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে রেললাইনের থেকে নদী মাত্র ২০ মিটারের দূর দিয়ে বইছে। এখনই কোন পদক্ষেপ না করলে রেললাইন নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে।
শুধু রেলই নয়, স্থানীয় শ্মশানে যাওয়ার একটি ঢালাই রাস্তা নির্মিত হয়েছিল নদীর পাড় দিয়ে। সেই ঢালাই রাস্তাটিও প্রায় ধ্বংসের মুখে। তাই দ্রুত এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ দাবি করছেন এলাকার মানুষ। উল্লেখ্য নদীভাঙন শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগে। পূর্বস্থলী-১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত নশরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জালুইডাঙ্গা গ্রামে এক সময় ১২০০ পরিবারের বাস ছিল। নদীভাঙনে তা বিলীন হতে হতে ১৫ টি পরিবারে এসে ঠেকার পর রেল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। কারন নদী তখন রেললাইনের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছে গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে তখন নদীপার বোল্ডার দিয়ে বেঁধে দেয়। তারপর সম্প্রতি আমফান ও কালবৈশাখী ঝড়ের পর আবার নতুন করে নদীভাঙন শুরু হয়। এই ভাঙন দ্রুত এগিয়ে আসছে রেললাইনের দিকে। তাই জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে রেললাইনকে গ্রাস করে ফেলবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সমুদ্রগর রেল ষ্টেশন মাষ্টার জানান– এই ভয়াবহতার কথা আমি লিখিতভাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি।