নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ অমিত শাহের ভার্চুয়াল মিটিং-এর সাফল্যকে ধরে রাখতে বাংলাকেও প্রথম ধাপে ৪ টি জোনে ভাগ করে ভার্চুয়াল মিটিং এর প্রস্তুতি শুরু করল বঙ্গ বিজেপি। একইসঙ্গে আগামী ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্যের সমস্ত বুথে বুথেই এই ভার্চুয়াল বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সোমবার বর্ধমানে জেলা সদর বিজেপি পার্টি অফিসে আত্ম নির্ভর ভারত নির্মাণ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে সাংবাদিক বৈঠকে এই সুচী জানিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। এদিন বৈঠকে কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগামী ২৩ জুন বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বলিদান দিবস সমস্ত বুথে বুথে পালন করা এবং বাড়ি বাড়ি প্রচারাভিযান চালানো হবে। রেশন দুর্নীতি নিয়ে এদিন রীতিমতো সরব রাহুল বলেন, মোদিজী চাল, ডাল, ছোলা পাঠিয়েছে রাজ্যের সমস্ত মানুষের জন্য আর তৃণমূলের নেতারা সেই মাল লুঠ করছে। এখন তো আবার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ মালও লুঠ করছে। তাই বাংলার মানুষ এখন বলছে চাল চোর তৃণমূল। রাহুল সিনহা এদিন বলেন, করোনা আর আমফান নিয়ে রাজ্য সরকার এখন ব্যর্থ। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উচিত বাংলার মানুষের কাছে এখন হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়া। একইসঙ্গে গড়িয়ার মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এই ঘটনায় তাঁর আর ওই পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকারই নেই। রাহুল বলেন, রাজ্যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলো এখন যন্ত্রণা সেন্টার। পরিযায়ী শ্রমিকদের মানষিক ও শারীরিক নির্যাতনের সেন্টার হয়ে উঠেছে এগুলো। তিনি বলেন, করোনা আর আমফানে রাজ্য সরকারকে শুন্যও দেওয়া যাবে না। রাজ্যের ৮৫ শতাংশ পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। কিন্তু করোনা আর আমফান নিয়ে পঞ্চায়েত যে তালিকা দিয়েছে তার অধিকাংশই ভুয়ো তালিকা। রাহুল সিনহা এদিন জানিয়েছেন, এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে তাঁরা কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পাঠানোর পাশাপাশি তাঁরা রাজ্যে পথে নেমেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট