নূর আহামেদ, মেমারিঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিনের লকডাউনের ফলে শিক্ষাক্ষেত্র তালাবন্দী থাকলেও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করে দিয়েছিল। কিন্ত রাজ্যের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদের কাছে স্মার্ট ফোন না থাকায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধে তাই শিক্ষকরা এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন পদ্ধতিতে।
ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক এমনই যে পড়ুয়াদের বাড়ি অথবা পাড়াতে পৌঁছে গেলেন টিচার্স ইনোভেটিভ
এওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষক অশোক চক্রবর্তী। মেমারি থানার অন্তর্গত শুড়েদূর্গাপুরের মোহিনী মোহন বসু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অশোক চক্রবর্তী গত ৩০ মার্চ থেকেই তার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে শিক্ষা দান করছিলেন। লকডাউ শিথিল হতেই তিনি পৌঁছে গেলেন পৌঁছে গেলেন ছাত্র – ছাত্রীদের পাড়াতে। কখনও গ্রাম্য রাস্তায় অথবা ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ির উঠোনেই চলছে শিক্ষা দান। এছাড়াও লকডাউনের কারনে গৃহবন্দী ছাত্র-ছাত্রীদের
মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি যাতে না ঘটে সে কারনে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে একাধিক সাংস্কৃতিক
প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। তবে সর্বক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পড়া ও হাত
স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক করেছেন সরকারী নিয়ম মেনেই।
প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য একাডেমিক এক্সিলেন্সি এওয়ার্ড, ইন্টারন্যাশানাল স্কুল এওয়ার্ড, IIRS ও ISRO কর্তৃক সম্মাননা, টিচার্স ইনোভেটিব এওয়ার্ড ছাড়াও শিক্ষাজগতের বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছেন শিক্ষক অশোক চক্রবর্তী।
বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে শিক্ষা জগতের এই পরিবর্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে এক নতুন দিশা নির্দেশ প্রদান করবে।