29/03/2024 : 5:05 PM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানপূর্বস্থলী

অতিথির মতো নদীভাঙন এবারও তামঘাটায়

আলেক শেখঃ লকডাউনকে উপেক্ষা করেই  বর্ষার মরসুমি অতিথির মতো  এবারও  যথাসময়ে  নদীভাঙন এসে হাজির হয়েছে তামঘাটায়।  তার কাজ শুরু হতেই চরম দুঃচিন্তায় পড়েছেন সেখানকার মানুষ।  একে তো সাধারণ মানুষের  কাজ নেই, রোজগার নেই।  তার উপর এই নদীভাঙনে  চরম বিপাকে  পূর্বস্থলী-২  ব্লকের মাজিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই তামাঘাটা গ্রামের মানুষ।  হাতে পয়সা নেই।  কি করে ঘরবাড়ি অন্যান্য বারের মতো সরিয়ে নিয়ে যাবে– তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে করতেই  চোখের ঘুম চলে গেছে।  তামাঘাটা গ্রাম ভাঙন প্রবন এলাকা বলেই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে বহু দিন আগে থেকেই।  সেই বিখ্যাত হয়ে ওঠার তকমা আজো ঝেড়ে ফেলতে সক্ষম হতে পারেনি।  তাই এক কথায় বলা যায়– ভাঙনের ট্র্যাডিশন আজো সমানে চলছে।  পাশাপাশি  প্রতিবছর সেচ দপ্তর থেকে কিছু  কিছু বাঁশের খাঁচার  মধ্যে দুই একটা বোল্ডার দিয়ে  ভাঙন কবলিত এলাকায় ফেলা হয়। বলা হয় ভাঙন আটকাতেই এই  বাঁশের খাঁচা ফেলা হচ্ছে।  কিন্তু এতে ভাঙন আটকানো যায়নি, আর যাবে  বলেও এখানকার মানুষ বিশ্বাস করেন না।  তবুও প্রতিবছর ভাঙন প্রতিরোধের নামে  সেচ দপ্তর  বাঁশের খাঁচা ফেলতে আসে। ভাঙন শুরু হতেই  এবারও সেচ দপ্তর তার কাজ শুরু  করেছে বলে জানান– পূর্বস্থলী- ২ বিডিও সৌমিক বাগচী।  গ্রামবাসীরাও জানান–  ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর।  তবে এবার বাঁশের খাঁচা বা বোল্ডার নয়,  পাড়ে ফেলা হচ্ছে বালির বস্তা। চর থেকে গ্রামের মানুষদের দিয়ে  বালি  কাটিয়ে এনে ফেলা হচ্ছে।  এই সবে বিশ্বাস  নেই এলাকার মানুষের।  তাঁরা চান বছর বছর ধরে এই  শিশু ভোলানোর কাজ এবার বন্ধ করা হোক।  পাকাপাকি ভাবে  করা হোক ভাঙন প্রতিরোধের কাজ।

Related posts

উৎকর্ষ বাংলা কেন্দ্রে খাদি শিল্পের প্রশিক্ষণ

E Zero Point

কলেজ মোড় এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য

E Zero Point

মেমারি হাসপাতালের কিচেনে আগুনঃ বিএমএইচওর তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল হাসপাতাল

E Zero Point

মতামত দিন