25/04/2024 : 10:01 AM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানমঙ্গলকোট

মঙ্গলকোটের রাহুল দেব বাগদি এক অনন্য প্রতিভার নাম

পরাগ জ্যোতি ঘোষ, মঙ্গলকোট: মঙ্গলকোটের জালপাড়ার রাহুল দেব বাগদী এক অনন্য প্রতিভা। অভাব পারেনি তার প্রতিভাকে আটকাতে। উল্টে জেদ বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই ছেলেবেলা থেকে বাবার হাত ধরে রং তুলির নেশা। মাটির দেওয়ালে ক্লাস সিক্স সেভেন এই প্রতিভার বিচ্ছুরণ। মূর্তি তৈরিতে ও সিদ্ধহস্ত। গনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে ডিজাইন এ কলা ভবন থেকে সার্টিফিকেট করেছে এবং বর্তমানে শিল্প সদনে সেরামিকস গ্লাসের উপর স্পেশালাইজেশন চলছে রাহুলের। গল্পটা হয়তো অন্য কোন ছাত্রের হলে সাদামাটা হয়ে যেত। হয়তো পাঠকের মনে হতো শিল্পীরা তো এমন ই হয় ।

কিন্তু তা নয় রাহুল এক অনন্য প্রতিভা। বাবা নিখিল বাগদি একটি হার্ডওয়ার দোকানের সামান্য কর্মচারী। আর মা ছায়া মাঝি আই সি ডি এস এর কর্মী। দুই ছেলেকে নিয়ে কোনো রকমে সংসার চালান। রাহুলের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে যান তারা। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ছেলেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আর লকডাউন এ রাহুল বাড়িতেই আছে। বাবাকে চাষের কাজে সাহায্য করছে। সঙ্গে চালাচ্ছে তার সাধনা। বাড়িতে চা খেলেও শান্তিনিকেতনে এক কাপ চা ও কিনে খায় না। কোন বাজে নেশা নেই তার।

রাহুল বলে অভাবের জন্য অনেক সময় উন্নত সরঞ্জাম সে কিনতে পারে না ।মাকে বললে মা হয়ত কিনে দেন যেমন করে পারেন কিন্তু সামান্য বেতনে সংসার চালাতেই হিমশিম খান ।বাধা তাকে অনেক সময় পিছিয়ে দেয় কিন্তু অসামান্য জেদি এই যুবক শিল্পী ভবিষ্যতে আর্ট নিয়েই বেঁচে থাকতে চায়।

একদম পিছিয়ে পড়া সমাজ থেকে উঠে এসেছে সে, দেখেছে শিক্ষার অভাবের জন্য পাড়াপড়শির নেশা আসক্তি থেকে বিপর্যয়।তাই সে নেশাকে ঘেন্না করে।

এমন রাহুল ভবিষ্যতে জালপাড়ার মুখ উজ্জ্বল করবে বলে মনে করেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।

Related posts

পান্ডুয়া কলকাতা বাস পরিষেবার শুভ উদ্বোধন

E Zero Point

প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, আহাত ৬

E Zero Point

২০ বছর ধরে স্বপ্নাদেশে রক্ষাকালীর পুজো হয়ে আসছে মঙ্গলকোটে

E Zero Point

মতামত দিন