জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, ২৮ অগাষ্ট, ২০২০:
কেন্দ্রের সমন্বিত কৌশল এবং ‘টেস্ট, ট্র্যাক ট্রিট’ নীতির কারণে বর্তমানে দেশে কোভিড সংক্রমিতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। একই সঙ্গে সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার হ্রাস পাচ্ছে। গত পাচমাসে তিন-চতুর্থাংশর বেশী কোভিড সংক্রমিত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখন এক-চতুর্থাংশের কম সংক্রমিত চিকিৎসাধীন।
সংক্রমণ কম থাকার কারণে যারা বাড়িতে নিভৃতাবাসে ছিলেন, এবং যাঁদের সংক্রমণ বেশী থাকার কারণে যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তাঁরা অনেক বেশী সংখ্যায় আরোগ্য লাভ করছেন। বর্তমানে কোভিড মুক্ত প্রায় ২৬ লক্ষ। গত চব্বিশ ঘন্টায় ৬০,১৭৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আরোগ্য লাভের জাতীয় হার ৭৬.২৮%।
চিকিৎসাধীনের থেকে বর্তমানে ৩.৫ গুণ বেশী সংক্রমিত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট ২১.৯% সংক্রমিত এখন চিকিৎসাধীন। সর্বশেষ হিসেবে চিকিৎসাধীন সংক্রমিতদের থেকে ১৮,৪১,৯২৫ জন বেশী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে সংক্রমিতদের দ্রুত শনাক্তকরণ, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার ফলে সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যারা যারা এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বাড়িতে নিভৃতাবাসের ব্যবস্থা করা অথবা যাঁদের হাসপাতালে পাঠানো দরকার, তাঁদের জন্য সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কোভিড চিকিৎসার জন্য দেশ জুড়ে ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাঁদের অবস্থা সংকটজনক, তাঁদের জন্য আইসিইউ-এর শয্যা, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা সম্বলিত নির্ধারিত কোভিড হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ধরণের হাসপাতাল বর্তমানে ১৭২৩টি। এছাড়াও কোভিড নির্ধারিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে ৩৮৮৩টি। এইই সব কেন্দ্রগুলিতে সংক্রমিতদের অক্সিজেন দেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ফোন করে চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নেওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে আইসোলেশনে থাকার জন্য ১১,৬৮৯টি কোভিড কেয়ার কেন্দ্র। সব মিলিয়ে দেশে ১৫,৮৯,১০৫টি আইসোলেশন বেড, অক্সিজেন দেওয়া যাবে এ ধরণের ২,১৭,১২৮টি বেড ও ৫৭,৩৮০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে দেশে কোভিড সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর হার কমে ১.৮২% হয়েছে।